• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১৫ এএম
আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হব
ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক:  ডলার সংকটে আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কাগজে-কলমে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ডলারের নতুন এই দাম বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

বৈঠক প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আফজাল করিমকে বলেন, ‘প্রায় এক বছর পর ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, রেমিট্যান্স ও রফতানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

কমানোর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতি ছিল, তবে এখন উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাই ডলারের দাম বাড়ার কারণ নেই।

এদিকে ব্যবসায়ীদের প্রতি ডলার ১২০-১২৩ টাকায় কিনে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় কিনছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা কমাতে ব্যাংকগুলো গত কয়েক মাস ধরে ডলারের যে বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে, সেই তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের দাম অনেক বেশি। মূলত ডলার ঘাটতির কারণে আমদানিকারকরা এলসি খুলতে অসুবিধায় পড়ছেন। পরিস্থিতি এখন এমন যে বেশি দাম দিতে চাইলেও প্রয়োজন মতো ডলার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এমনকি ব্যাংক থেকেও নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।

অবশ্য ব্যাংক কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বড় ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলো এলসি খোলা ও বিল নিষ্পত্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরোক্ষ নির্দেশনায় রফতানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image