• ঢাকা
  • সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চট্টগ্রামে লাইসেন্সবিহীন সাড়ে ৪ হাজার নলকূপ,


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:২৩ পিএম
গেলে প্রচুর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে
চট্টগ্রাম ওয়াসা

নিউজ ডেস্ক:  নগরীতে ব্যক্তি পর্যায়ে নলকূপ বসাতে গেলে ওয়াসা থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। লাইসেন্সবিহীন নলকূপগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াসা। লাইসেন্স গ্রহণের জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ওয়াসা। এতে গ্রাহকদের সাড়া মিলছে না।

ওয়াসা কর্মকর্তারা জানান, লাইসেন্সবিহীন হাজারো নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপ লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে প্রচুর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। তবে লাইসেন্স ফি বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের সাড়া মিলছে না।

বিভিন্ন সাইজের নলকূপের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন ইঞ্চি ব্যাসের গভীর নলকূপের আবাসিক খাতে লাইসেন্স ফি ৩০ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ১৫ হাজার টাকা। আর অনাবাসিক খাতে লাইসেন্স ফি ৫৫ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা। চার ইঞ্চি ব্যাসের আবাসিক খাতে লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ২৫ হাজার টাকা। আর অনাবাসিকে লাইসেন্স ফি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। ছয় ইঞ্চি ব্যাসের আবাসিকে লাইসেন্স ফি ৮০ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৭৫ হাজার টাকা আর অনাবাসিকে লাইসেন্স ফি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।

ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গ্রাহকদের তেমন সাড়া মেলেনি। এখন আমরা এলাকাভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করব। আর নলকূপের ফি ওয়াসা পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেছে। ফি কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাসাবাড়ি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এসব নলকূপ বসানো হয়েছে। নগরীতে গভীর নলকূপ বসাতে গেলে ওয়াসা থেকে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। এসব বিষয় মাঠ পর্যায়ে দেখাশুনার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নেই।

ওয়াসা সূত্র জানায়, বর্তমানে আবাসিক ও অনাবাসিক খাতে ওয়াসার লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে।

ওয়াসা কর্মকর্তারা জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে গভীর নলকূপ স্থাপনে লাইসেন্স ফি আগে আরও বেশি ছিল। এখন লাইসেন্স ফি কিছু কমানো হয়েছে। মানুষকে নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে নিরুত্সাহিত করার জন্য লাইসেন্স ফি বাড়তি রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মানুষ পানির চাহিদা মেটাতে ঠিকই নলকূপ বসাচ্ছেন। নগরীতে ব্যাপক হারে গভীর নলকূপ বসানোর কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক ভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image