নিউজ ডেস্ক: এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসীর জ্ঞানভাপিতে অবস্থিত ব্যাসজির বেসমেন্টে উপাসনার অনুমতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ব্যাসজি তাহখানায় পুজো চলবে। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের আদেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল মুসলিম পক্ষ।
গত ৩১শে জানুয়ারী২০২৪ , বারাণসীর জেলা আদালত হিন্দু পক্ষকে জ্ঞানভাপির ব্যাস বেসমেন্টে উপাসনার অনুমতি দিয়েছিল, যার পরে বারাণসী আদালতের আদেশকে এলাহাবাদে মুসলিম পক্ষের পক্ষ থেকে আঞ্জুমান মসজিদ কমিটি চ্যালেঞ্জ করেছিল উচ্চ আদালতে।
এর আগে বারাণসী জেলা আদালত শৈলেন্দ্র কুমার পাঠকের আবেদনের ভিত্তিতে পুজোর নির্দেশ দিয়েছিল, যিনি বলেছিলেন, তাঁর মাতামহ সোমনাথ ব্যাস ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্ঞানবাপিতে পূজা করেছিলেন। শৈলেন্দ্র পাঠক অনুরোধ করেছিলেন, একজন বংশগত পুরোহিত হিসাবে তাকে বেসমেন্টে প্রবেশ করার এবং পুনরায় পূজা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হোক।
মসজিদটিতে চারটি 'তাহখানা' (সেলার) রয়েছে এবং তার মধ্যে একটি এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন।
মসজিদ কমিটি বলেছিল- বেসমেন্টে কোনো মূর্তি নেই
বারাণসী জেলা আদালতের আদেশটি মসজিদ কমপ্লেক্স সম্পর্কে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) রিপোর্ট প্রকাশের একদিন পরে এসেছিল। এই মামলার বিষয়ে একই আদালতের আদেশে এএসআই জরিপ প্রস্তাব করে মসজিদটি আওরঙ্গজেবের শাসনামলে একটি হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছিল।
মসজিদ কমিটি আবেদনকারীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। কমিটি বলেছে, বেসমেন্টে কোনও মূর্তি ছিল না, তাই ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেখানে পূজা করার প্রশ্নই আসে না। মসজিদ কমিটি ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে গিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট বারাণসী জেলা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে এবং হাইকোর্টে যেতে বলেছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এলাহাবাদ হাইকোর্ট নাকচের এই সিদ্ধান্ত দেয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: