• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

উল্লাপাড়ায় মই বেয়ে উঠতে হয় ৭ কোটি টাকার সেতুতে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৫ পিএম
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৭ কোটি টাকার
মই বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে

মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ৭ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে। ভুমি অধিগ্রহন না হওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে, বিল সুর্য নদীর উপর নির্মানাধীন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। উল্লাপাড়া-কামারখন্দ আঞ্চলিক সড়কে উল্লাপাড়া পৌর সভার বাড়ইয়ায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মান করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৯৪ ফুট লম্বা এই সেতুটির মুল কাজ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়েছে। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মই বেয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেতুটি পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

নিয়ম অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জরিপের পর প্রয়োজনীয় জমির মূল্য নির্ধারণ করে অনুমোদন দেওয়া হলে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয়ে থাকে। উল্লাপাড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যথাসময়ে ওই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে তারা বাড়ইয়ায় বিল সুর্য নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে এসেছেন। উল্লাপাড়ার বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের প্রচেষ্টায় অবশেষে এলজিইডি এখানে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয়। সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হয়ে গেলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় সেতুর উভয় প্রান্তে বাঁশের মই বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন তারা। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মানের দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে এলজিইডির উল্লাপাড়া অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ জানান, বাড়ইয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভুমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে আবেদন জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। ভুমি অধিগ্রহনের নিয়ম অনুযায়ী ৭ ধারা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন ৮ ধারা (স্থানীয় দর নির্ধারন) সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন পেলে দ্রুত সেতুর বাকি কাজ শুরু হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image