![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক: সংকটাপন্ন রোগীর অত্যাধুনিক শয্যা, অক্সিজেন, নেবুলাইজার, ভেন্টিলেটর মেশিন, অটোমেটিক সিরিঞ্জ পাম্পমেশিন ও কার্ডিয়াক মনিটরসহ সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে চমত্কারভাবে সজ্জিত রয়েছে ইউনিটটি। রয়েছে আইসোলেশন, চিকিত্সক-নার্সদের দায়িত্ব পালনের আলাদা কক্ষ। যা চকচকে রাখতে ইউনিটটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় নিয়মিতই। কিন্তু গত বছরের ১৪ নভেম্বর উদ্বোধনের পর, সাড়ে ৬ মাস পার হলেও চালু করা যায়নি আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম। ফলে উন্নত যন্ত্রপাতি থাকার পরও ইউনিটটি গুরুতর রোগীদের কোনো কাজে লাগছে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনারি কেয়ার ইউনিট ভবনের ৪র্থ তলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই দেখা যায় লিফটের নির্ধারিত স্থান, যেটা কাজে লাগেনি। প্রধান ফটকটি তালাবন্ধ রয়েছে। ভেতরে বাঁ পাশে বিশাল একটি কক্ষে শয্যাসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থরে থরে সাজানো রয়েছে। কিন্তু প্রাণের স্পন্দন নেই। ডানপাশের এসডিইউয়ের নির্ধারিত বিশাল কক্ষটি পড়ে রয়েছে। সেখানে মাঝেমধ্যে হাসপাতালের নির্ধারিত সভা-সেমিনার হয় বলে সংশ্লিষ্ঠ একজন কর্মী জানান।
সূত্র জানায়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে অনেকটা বেসরকারি উদ্যোগেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ এবং ১৫ শয্যার এসডিইউ ইউনিট চালু করা হয়। হাসপাতালের বিদ্যমান চিকিত্সক, নার্সসহ কর্মচারীদের নিয়ে ইউনিটটি প্রশাসনিক ভবনে চলমান রয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আওতায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়। এজন্য করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৪র্থ তলাকে বেছে নেওয়া হয়। নতুন এ ওয়ার্ডে রয়েছে ১০ শয্যার আইসিইউ, ২০ শয্যার আইসোলেশন, চিকিত্সক-নার্সদের দায়িত্ব পালনের আলাদা কক্ষ, অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন উপকরণ। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও চিকিত্সা সহায়ক সামগ্রি দেওয়া হলেও, দেওয়া হয়নি কোনো জনবল। আবার তৃতীয় তলা পর্যন্ত লিফট থাকলেও ৪র্থ তলা পর্যন্ত নেই লিফটের সুবিধা। ফলে সব স্থাপনা থাকার পরও নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আইসিইউ ইউনিট করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৪র্থ তলায় অবস্থিত। তিন তলা পর্যন্ত লিফট সুবিধা আছে। আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিট ৪র্থ তলায়। কিন্তু ৪র্থ তলা পর্যন্ত লিফট স্থাপিত না হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদের ওঠানামার সমস্যা হবে বলে নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনারসহ পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। লিফট স্থাপনসহ পর্যাপ্ত জনবল পদায়ন হলে আইসিইউ চালু করা সম্ভব হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েক বার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আইসিইউয়ের জন্য লিফটের সংস্থান ছিল না। তিন তলা পর্যন্ত যে লিফট স্থাপন করা হয়েছে, সেটা বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের। আমরা সম্প্রসারণের জন্য লিখেছি। প্রকল্পটি সংশোধন করে সম্প্রসারণ অথবা নতুন ভাবে স্থাপন করতে হবে। চলতি জুন মাসের মধ্যে হলেও এটা কমপক্ষে আট মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: