• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

৩ দিন ধরে লোডশেডিংয়ে ইবির সাদ্দাম হল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৫৬ পিএম
৩ দিন ধরে লোডশেডিংয়ে
ইবির সাদ্দাম হল

আহমাদ গালিব, ইবি :  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিদ্যুৎ সচল থাকলেও তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগহীন রয়েছে সাদ্দাম হোসেন হলের একাংশ। একইসাথে হলের উত্তর ব্লকে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। এদিকে দিনের বেশিরভাগ সময় পানির অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনে হল অফিসে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রদান সত্ত্বেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। এতে হলের অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিং এড়াতে এবং ইমার্জেন্সি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ইনডোর এবং আউটডোর মিলিয়ে ৫টি সাবস্টেশন রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জেনারেটর সেবা চালু থাকলেও লোডশেডিংয়ে দিন যাপন করছে আবাসিক হলটির অর্ধেক শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকমাস ধরে উত্তর ব্লকের সার্কিটের সুইচ পরে যাচ্ছিলো। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পূর্বে অবগত করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি হল কতৃপক্ষ। ফলে গত ১৪ জুলাই সার্কিটের সুইচ অকেজো হয়ে পরে। এ বিষয়ে উত্তর ব্লকের ৪র্থ তলার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাঈম শেখ বলেন, লোডশেডিংয়ে অনেক কষ্টে আছি। আর ইন্টারনেট না থাকায় যোগাযোগ এবং পড়াশোনা বিঘ্ন হচ্ছে। এদিকে হলের কতৃপক্ষকে জানিয়েও দ্রুত সময়ে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া একের পর এক সমস্যার যেন অন্ত নেই কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর এই আবাসিক হলে।

হলটির উত্তর ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থী আবুল বাশার বলেন, হলের প্রভোস্টকে জানিয়েছি এবং এপর্যন্ত একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি। তাছাড়া হলে পানির সমস্যা বেড়েই চলেছে। একপাশের ট্যাংক ভর্তি হয়ে পানি অনবরত পড়তে থাকলেও অপর পাশের ট্যাংকে পানি আসে না। এভাবে ওয়াশরুমে ও বেসিন গুলোতে সারাদিন পানি না পাওয়া গেলে গোসল, জরুরি কাজ বা কিছুই না করতে পেরে আটকে থাকতে হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক হলটির সকল রুমে নেই জেনারেটরের সংযোগ। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে সময় কাটাতে হয় তাদের। এতে ব্যহত হয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। হলের ১০২নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী রুমান ইসলাম বলেন, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনারেটর চালু থাকে। কিন্তু আমাদের রুমে জেনারেটর সংযোগ না থাকায় অন্ধকারে থাকতে হয়। পরীক্ষা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। দিনের আলোই শুধু ভরসা।

ঘটনার পরদিন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে জানানো হলে তিনি বলেন, অনেক পুরাতন হল হওয়ায় এর বৈদ্যুতিক লাইনগুলো দুর্বল। আর ঐ সার্কিটটির সমস্যার বিষয়ে আমি শুনেছি। শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর পানি সংকটের বিষয়েও পদক্ষেপ নিব।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image