• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সারতে চায় ইসি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৪১ পিএম
সীমানা, পুনর্নির্ধারণ, ইসি
রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনি আসনকেন্দ্রিক সীমানা জটিলতা কাটাতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী জুনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করবে ই‌সি। 

রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার।

জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি অ্যাপ তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাতে আসনভিত্তিক সব তথ্য থাকবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, জনসংখ্যার ভিত্তিতে নয়, প্রশাসনিক এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এ কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় এ ধরনের পরিবর্তন আনতে চায় না ইসি। তাহলে ঢাকার সংসদীয় আসন বাড়াতে হবে।

আগে সীমানা নির্ধারণ করা নিয়ে আইনি সমস্যা হলেও ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনকে আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন পাস হয়। এই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না। ফলে এই কাজটি অনেকটা সহজ হয়েছে ইসির জন্য।

এখনো পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি জানিয়ে কমিশনার আলমগীর বলেন, আমাদের অপেক্ষা করা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। প্রথম গুরুত্ব হচ্ছে প্রশাসনিক, যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে তো আমাদের পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তাহলেও করার প্রয়োজন নেই।

ইসি আলমগীর বলেন, এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যা। এখন জনসংখ্যার জন্য মাইগ্রেশনের কাছে যে পরিবর্তনটা আসে, সে ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসে। জনসংখ্যাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মেলাতে গেলে আরেকটি মেলে না। আপনি যদি প্রশাসনিক অখণ্ডতা ঠিক রাখেন, তাহলে দেখা যায় যে, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা ঠিক রাখলে জনসংখ্যার হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এটা কখনোই মেলানো সম্ভব নয়। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখবেন কোথাও কোথাও পৌনে তিন লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় আমাদের প্রিন্সিপালগুলো কী হবে তা ঠিক করা হবে। আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি এক ব্রিফিংয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ইসির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছিলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সীমানা সংক্রান্ত কাজ আগামী জুনের মধ্যেই শেষ করতে চায় ইসি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর

আরো পড়ুন

banner image
banner image