• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কৃষকের বোরো আবাদে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:০৫ পিএম
খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে 
কৃষকের বোরো আবাদ

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর বিরামপুরে বোরো আবাদ চাষে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে বলে কৃষকরা বলছেন, ডিজেল, সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। 

বিরামপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪ হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা এরই মধ্যে ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন। পাশাপাশি চারা গুলো রোপনের উপযুক্ত হয়েছে। 

গত মৌসুমে বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের বোরো চাষে অনেক আগ্রহ বেড়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সাথে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। পাশাপাশি কৃষকরা জানান,কীটনাশক,বীজ,সার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় গত বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। 

উপজেলার বিনাঈল ইউনিয়নের কৃষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন,গত বছর এক বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করতে খরচ হয়েছিল ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার বিঘাপ্রতি খরচ বেড়েছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা। সেই হিসেবে আমাদের গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিঘাপ্রতি ১১ থেকে ১৪ শতাংশ বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।

দিওড় ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের শফিকুল নামের কৃষক বলেন,এবারে বাজারের প্রতিটি পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃষি জমিতে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সার কীটনাশক,পানি ও শ্রমিকদের মুল্য অনেক টাই বেড়েছে। খানপুর ইউনিয়নের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন,এবারে কৃষি প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে ও কৃষকদের স্বস্তি আসতে পারে। তাছাড়া বাজারে পণ্যের সাথে কৃষি পণ্যের দামও অনেক বেড়েছে। 

কাটলা ইউনিয়নের কৃষক কালিদাস চন্দ্র জানান, আমাদের অল্প জমি চাষবাস করে থাকি তবে সকল জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে রয়েছি। মুকুন্দপুর ইউনিয়নের কৃষক ফয়সাল আহম্মেদ জানান,এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকল পণ্যের মুল্য বেশি হলেও আবাদ ভালো হলে তা পুষে যাবে। 

এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজার সিন্ডিকেট ভাংতে হবে। এব্যাপারে স্হানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জোতবানী ইউনিয়নের কৃষক আঃ লতিফ মিয়া জানান, কৃষি কাজ বেশি বেশি করছি ও প্রতিটি আবাদ যত্নের সাথে আবাদ করছি তবে বাজার গরম। আর এই জন্যই মুনাফার অংশ কমে যাচ্ছে। 

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদরা জানান,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো ধান চাষে সুষম মাত্রায় সার দেওয়ার জন্যও লাইন,লোগো এবং পার্সিং করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাহা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image