নিউজ ডেস্ক : পপসম্রাট আজম খান ও বাংলা গানের প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক আলম খানের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান (খোকা) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে, নাতি-নাতনি’সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টা ৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত তিন বছর ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
অন্য দুই ভাইয়ের মতোই লিয়াকত আলী খানও সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। নির্যাতনের ফলে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ব্যতয় ঘটে তার সঙ্গীত জীবনে।
তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসীর কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তার লেখনীতেও ছিল মানবিকতার ডাক। আজম খানের গাওয়া কালজয়ী “সব মানুষ ই সাদা কালো ভেতরটা তার লাল” গানটির গীতিকার ও সুরকার ছিলেন লিয়াকত আলী খান। এছাড়া তার অসংখ্য গান অপ্রকাশিত রয়েছে।
বুধবার জোহরের নামাজের পর রাজধানীর আল হেলাল জোন বায়তুল আমান জামে মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর ২ নং জসিম উদ্দিন রোডে নিজ বাড়িতে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় সঙ্গীতানের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলর এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ বাহাউদ্দিন নাছিম।
লিয়াকত আলী খানকে মুগদা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
সংগীতজ্ঞ লিয়াকত আলী খানের বাবার নাম আফতাব উদ্দিন খান। মায়ের নাম জোবেদা খানম। তিনি ১৯৫২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন।
লিয়াকত আলী খানের স্ত্রী লিনা খান পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি বিটিভির তালিকাভুক্ত সঙ্গীতশিল্পী। তিনিও বর্তমানে অসুস্থতায় ভুগছেন। এই দম্পতির তিনি সন্তান তানিয়া খান টুম্পা, সাব্রিনা খান সম্পা ও আসিফ।
লিয়াকত আলী খানের বড় ভাই পপসম্রাট আজম খান ২০১১ সালের ৬ জুন মারা যান। মেজ ভাই আলম খান ২০২২ সালের ৮ জুলাই মারা যান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: