• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শিক্ষকদেরও মূল্যায়ন দরকার: জবি উপাচার্য 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৯ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৩ পিএম
শিক্ষকদেরও মূল্যায়ন দরকার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

কাওছার, জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, শিক্ষকদেরও মূল্যায়ন দরকার, আমি কেমন শিক্ষক সেটা আমার শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে। আবার শিক্ষার্থীদেরও নির্যাস নিতে হবে শিক্ষকের কাছ থেকে তার জীবনযাত্রা, চলাফেরা ও কথাবার্তা দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জবির সমাজকর্ম বিভাগের সোশ্যাল ওয়ার্ক এসোসিয়েশনের আয়োজনে ছাত্র কাউন্সেলিং ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

 ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমার দেশের জন্য যখন আইডেন্টিটির প্রশ্ন আসে তখন আমরা কনফিউজড হয়ে যাই, আমাদের আইডেন্টিটি আমরা বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি লড়াই করেছেন গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের জন্য। সেই সমাজতন্ত্র আবার লেলিনের সমাজতন্ত্র নয় সেটা হচ্ছে জাস্টিজ এবং আমার ইকুইটি ইকুইলের জন্য। 


জবি উপাচার্য বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, সকল ধর্মকে আমি সম্মান করবো, সবার ধর্মের উৎসবে যাবো, নিজের মতো করে ধর্ম চর্চা করবো। কিন্তু ধর্মটাকে যখন আমি আইডেন্টিটিতে নিয়ে আসি তখনই সমস্যা হয়ে যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনেক ধর্মপরায়ণ তাহলে তিনি কিভাবে চলেন সেটাও আমাদের আইডেন্টিটি হতে পারে।


 তিনি আরো বলেন, আমি যদি আবার জন্ম নেওয়ার সুযোগ পেতাম আমি বাঙালি নারী হয়েই জন্ম নিতে চাইতাম। আমি শাশ্বত বাঙালি, আমি শাড়িই পড়বো সাথে টিপ পড়বো-এটার সাথে আমার ধর্মের কোনো সম্পর্ক
নেই।  

জবির সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা হয়।

পরবর্তীতে সমাজকর্ম বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ৫ জন এমএসএস শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩টি ক্যাটাগরিতে সোশ্যাল ওয়ার্ক কো-কারিকুলার বৃত্তি, এক্সট্রা কারিকুলার বৃত্তি এবং মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image