আহমাদ গালিব, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিয়োগ সংক্রান্ত 'কন্ঠসদৃশ্য' একাধিক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। নির্দিষ্ট ক্লিয়ারেন্সে নিয়োগ, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ সিদ্ধান্ত, মেডিকেলে নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় এই অডিওতে। গত শুক্র ও শনিবার মধ্যরাতে আলাদা সময়ে অডিও দুইটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অডিওতে অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথা শোনা যায়নি। তবে ৫৩ সেকেন্ডের অডিওতে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ফাইন আর্টসের টা করে দিতে পেরেছি। সিন্ডিকেট পর্যন্ত কিছু করার দরকার নেই। সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত হবে। আজকে সকালে দেখলাম মার্কেটিং এর একটা ইয়ে পাঠিয়েছেন। এটা তো কালকেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। খুব খারাপ ছিল না, হয়তো পাঁচেটাচে ছিল। সোজা কথা, আপনার ক্লিয়ারেন্স ছাড়া এখানে কাউকে নিয়োগ দিব না। আবার ৪৬ সেকেন্ডের আরেকটি অডিওতে বলেন, আমরা কিন্ত মেডিকেলের টা ডিসিশন নেইনি। একটা সুযোগ তৈরি হচ্ছে, ওর জন্যই নেইনি। ৭ তারিখের ভিতরেই বা এ মাসের ভিতরেই আরেকটা এড (বিজ্ঞপ্তি) আছে, ওটাতে যেন এপ্লাই করে দেয়।
এর আগেও গত ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক আইডি থেকে ভিসির ‘কন্ঠসাদৃশ্য’ অন্তত ১০টি অডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিসির কার্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারী অনিবার্য কারণ দেখিয়ে মেডিকেলসহ তিনটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছিল।
এ ঘটনার তদন্তে গত ১২ মার্চ ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দ্রুত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয় কতৃপক্ষ। প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো প্রতিবেদন জমা দেইনি। অডিও ফাঁস নিয়ে কমিটি হয়েছে বলে তো আমার জানা নেই। ফোনালাপ ফাঁসের নিউজের সত্যতা যাচাই ও সেসময় ক্যাম্পাসে মাইকিং ঘটনার সামগ্রিক তদন্তে মূলত কমিটি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, অডিও তো আসার তালেই আছে। অংশবিশেষ ধরে ধরে এগুলা করা হচ্ছে। আমি কারো কথায় চাকরি দেই না। মেধার বাইরে আমি কিছু করিনাই, করবো না। আর টাকা পয়সা খাওয়া এসমস্ত জিনিস আমার চিন্তার বাইরে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: