নিউজ ডেস্ক: কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা ২০২৪শেষ হলো শনিবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকায়। 'ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ-স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্যে নিয়ে ৩ দিন ব্যাপি আয়োজিত এ মেলা ৬ জুন রোজ বৃহস্পতিবার কেআইবি শুরু হয়েছিল।
এবারের ফলমেলায় ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৫৫ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মোট ৬৩ টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফলচাষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ০৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেলায় আগত দর্শণার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনেছেন।
বিএআরসি মিলনায়তনে ফলমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফলের আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য সকলকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।
প্রধান অতিথি মেলায় অংশগ্রহণ ও ফল উৎপাদনে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে পুরস্কার বিতরন করেন। মেলায় স্টল প্রদর্শনীর জন্য সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১ম স্থান অধিকার করে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ২য় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ৩য় স্থান অধিকার করে। বেসরকারী পর্যায়ে Farmi Agro ১ম স্থান, চিটাগাং মেরিডিয়ান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ২য় স্থান এবং কাফকো এগ্রো ৩য় স্থান অর্জন করে। ফল উৎপাদন ও বানিজ্যিকীকরণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে মো. সোহেল রানা, এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং মো. হারুন অর রশিদ (মুসা) কে পুরস্কৃত করা হয়। ফল উৎপাদন ও সম্প্রসারণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. এনামুল হক কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট ফল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে আম উৎপাদন হয়েছে ২৭ লাখ মে.টন, লিচু ০২ লাখ ৩০ হাজার মে.টন, কাঁঠাল ১৮ লাখ ২৪ হাজার মে.টন ও আনারস উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার মে.টন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: