নিউজ ডেস্ক : নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানা বা শেয়ার নেই। তিনি এখন আর এসব প্রতিষ্ঠানের কেউ নন গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠানে । যথাযথ আইন মেনেই গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত সাত প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। ১৬ প্রতিষ্ঠানের বাকিগুলোর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়েও তথ্য এবং প্রক্রিয়া যাচাইয়ের কাজ চলছে।
রাজধানীর মিরপুরে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল। গত বৃহস্পতির ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান তিনি ব্যবসার মুনাফা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ড. ইউনূসের সেই অভিযোগের জবাব দিতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে গ্রামীণ ব্যাংক।
ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনের তিন দিন আগে গত মঙ্গলবার থেকে গ্রামীণ টেলিকমে অবস্থিত ৭ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেয় গ্রামীন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর মিরপুরে চিড়িয়াখানা সড়কে অবস্থিত ১৪ তলাবিশিষ্ট গ্রামীণ টেলিকম ভবনে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তিসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।
চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল বলেন, এ পর্যন্ত যে সাত প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়েছেন, সেগুলোর ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া মানা হয়েছে। আরও আগেই এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। বিলম্বের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। কোন রকম জবর দখল করা হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ ধরনের যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সত্যের বরখেলাপ বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: