জাফর আলম, কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নয়া পাড়া এলাকার নুরুল কবির (৩৭) দীর্ঘ ১৫ বছর পর সৌদি আরব থেকে এসে মুরগির খামার শুরু করেন। নুরুল কবির স্থানীয় শামশুল আলমের ছেলে। বর্তমানে তার খামারে ৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকরা জানান, মুরগি পালন করে সংসারে খরচও চালান কবির। এখানে কাজ করে আমাদের সংসার চলে।
তাছাড়া এ খামারে কাজ করে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করে ভবিষ্যতে আমরা টাইগার মুরগির খামার দেব। নুরুল কবির জানান, খামার করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। এখন তার খামারে প্রায় ১ হাজারেরও শতাধিক মুরগি রয়েছে। সখের মুরগি পালন করতে গিয়ে তৈরি করেছেন বাণিজিক খামার। বর্তমানে এই মুরগি পালন করেই মাসে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। নুরুল কবির আরও জানান, এ জাতের মুরগি ডিম বেশি দেয়, মাংস বেশি হয় এবং মাংস অন্য মুরগির চেয়ে সুস্বাদু।
সরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে খামার বড় করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্ম উদ্যোগী ও বেকারত্ব লাঘবের ইচ্ছা আছে তাঁর। কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: সাহাবউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে ব্রয়লার, কক, টাইগার, লেয়ার, দেশি মুরগিসহ অনেক খামার। বাণিজ্যিক ও শৌখিন খামারিদের মুরগি পালনে সব সময় পরামর্শ ও সহায়তা করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: