
হেলালুর রহমান জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি: তিন বছর পর খোলা হলো চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের বন্ধ কার্যালয়। সোমবার (৮ মে) দুপুরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এনে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা কাটা হয়। তালা কেটে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন শিক্ষক-কর্মচারী। এসময় চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মগরেব আলী,একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ গোলাম মোস্তফা,কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আঃ মজিদ,থানার এসআই মশিউর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তালা খোলার আগে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেন। সভায় বলা হয় ,৩ বছর যাবত অধ্যক্ষের কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকায় সকল শিক্ষকের জাতীয়করণ ও আত্মীকরণসহ কলেজের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এসময় সকল শিক্ষক কর্মচারী তালা ভেঙে ফেলা অথবা খোলার পক্ষে মতামত দেন। একইসাথে তারা প্রত্যেকে একটি করে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন। সম্মতিপত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা উল্লেখ করেন তালা খোলার কারণে কোন প্রকার জটিলতা বা আইনি সমস্যা হলে তারা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন। তালা খোলার পর ইউএনও,পুলিশসহ অন্যদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা কম্পিউটার,টেলিভিশন,এসিসহ সকল জিনিসি ও কাগজপত্রের সিজার লিস্ট করা হয়। তালা খোলার পর উপস্থিত শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী আনন্দ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল বলেন,মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা সমস্যার কারণে কলেজ অধ্যক্ষ ৩ বছর আগে তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে চলে যান। অধ্যক্ষের কক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। কলেজটি সরকারিকরণ করা হলেও শিক্ষকদের জাতীয়করণ ও আত্মীকরণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের সিদ্ধান্তে তালা খোলা হলো।
প্রসঙ্গতঃ চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ থেকে শুরু করে দূর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে শিক্ষকদের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। আদালতে মামলা হলে অধ্যক্ষ হাজতবাসও করেন। ৩ বছর আগে অধ্যক্ষ তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর থেকেই অধ্যক্ষের কক্ষটি তালাবদ্ধ ছিল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: