• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

হাসপাতালে মারা গেছে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:২৪ পিএম
হাসপাতালে
মারা গেছে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা

জাফর আলম, কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিম মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ সলিম গুরুতর আহত হন বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) সৈয়দ হারুনুর রশীদ।আহতকে উদ্ধার করে কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। 

পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।মোহাম্মদ সলিম (২৮) উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির সি-ব্লকের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সাব-মাঝি হিসেবে দায়িত্বরত।

এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক হারুনুর রশীদ জানান, বুধবার রাতে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে মোহাম্মদ সলিম স্বেচ্ছায় পাহারায় নিয়োজিত কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজের তদারকি করছিলেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে আলাপের এক পর্যায়ে মুখোশ পরিহিত ১০/১৫ জনের অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সলিমকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। 

খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।এপিবিএনের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে এপিবিএন অভিযান চালাচ্ছে।

এর আগে, বুধবার দুপুরে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই শিশু উম্মে হাফসা ও আবুল ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের দুজনকে প্রথমে এমএসএফ হাসপাতাল পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image