• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নোয়াখালীতে অটোচালকের হাতে অটোচালক খুন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৫ পিএম
নোয়াখালীতে অটোচালকের হাতে অটোচালক খুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকের হাতে আরেক অটোরিকশা চালক খুন হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার মো.সোহাগ (২৪) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দোয়ালিয়া গ্রামের বদিউর জামানের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিল।  

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন। 

এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদধসিংহ গ্রামের গাজীআলাউদ্দিনের ঘরের পেছনে সুপারি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

নিহত মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন (১৮) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির কবির হোসেনের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ভিকটিম নিখোঁজের পর থেকে আত্মগোপন চলে যায় ঘাতক খুনি। পরবর্তীতে জেলার সুবর্ণচর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছর পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ অটোরিকশা চালানোর সময় ভিকটিম আরেক অটোরিকশা চালক মামুনের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা একসাথে বিভিন্ন সময় গাঁজা সেবন করত। ঘটনার দিন গত ২২ জানুয়ারি এশার নামাজের পর সোহাগ ভিকটিমকে মোবাইলে কল দিয়ে গাঁজা সেবনের বিষয়ে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ভিকটিম ফোন করে গাঁজা কেনার কথা জানিয়ে সোহাগকে সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থল মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে সুপারি বাগানে আসার জন্য বলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরও জানায়, আসামি ভিকটিমের কথা অনুযায়ী সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও ভিকটিম দুজনে মিলে দুই স্টিক গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবনের একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহাগ ইট ভাঙ্গার অর্ধেক হাতল দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং অন্ডকোষে লাথি মারে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি ইট ভাঙ্গা টুকরাটি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরবর্তীতে আসামির দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আসামিকে সাথে নিয়ে তার ভাষ্যমতে ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে ভাঙ্গা ইটের টুকরা ও ঘটনাস্থলের পাশে বাগান থেকে ভিকটিমের পরিহিত স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস

আরো পড়ুন

banner image
banner image