![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের মনতলা ব্রিজের নিচে লাগেজের ভেতরে এক যুবকের চারটি খণ্ডিত দেহ ও বাইরে থেকে মাথা রবিবার (২ জুন) উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এই মরদেহটি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় গুলশান শাখার শিক্ষার্থী সৌরভের। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দিন।
সৌরভের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে। তবে নিহত সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন।
রোববার (০২ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন।
এরআগে, এদিন সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে এক অজ্ঞাত তরুণের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মনতলায় সুতিয়া নদীর ব্রিজের নিজ থেকে কালো রঙয়ের একটি ট্রলি লাগেজ থেকে মরদেহের তিন খণ্ড এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দিন।
ওসি আরো জানান, খুন হওয়া তরুণের নাম সৌরভ। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে বাসিন্দা ও ডাক বিভাগের কর্মচারী মো. ইউসুফের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে লেখাপড়া করতেন বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকেন না। এরমধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকায় এবং এক চাচা মো. ইলিয়াস ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন বলে জেনেছি। তবে কেন বা কি কারণে ছেলেটা খুন হয়েছে তা এলাকার কেউ জানে না। খুনের ঘটনাটি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে।
তবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই তরুণকে খুন করে মরদেহ চার খণ্ড করে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: