
ডেস্ক রিপোর্টার : এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ৪৫টি নাগরিক সেবা মিলবে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। কৃষিকাজের সাথে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও অধিক জনগণ সরাসরি এ প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।মন্ত্রণালয়েরওয়েবসাইট (moa.gov.bd) থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটালসার্ভিস (http://service.moa.gov.bd/portal/home) ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা মিলবে।
১৫ মার্চ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ডিজিটাল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেইপাওয়া যাবে, সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।
এই পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাসমূহকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন, দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এখানে কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সকল সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে। এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায়, কতখরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কীকী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাসমূহ পাওয়া যাবে তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবা প্রদানের পদ্ধতির ধাপসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছে। এখাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।
বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সাথে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও এসময় বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: