নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌর শহরের পার্কে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যকে আটক করেন র্যাব- ১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি চাকু, একটি ক্ষুর ও দুটি কাঁচি জব্দ করেন র্যাব- ১১।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব- ১১, সিপিসি- ৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ।
গত বুধবার রাতে নোয়াখালী জেলার আলীপুর এলাকার চৌমুহনী পৌর পার্কে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, চৌমুহনী পৌর শহরের উত্তর নাজিরপুর এলাকার কালা মিয়া কমিশনার বাড়ির হুমায়ন কবিরের পুত্র তহিদুল ইসলাম সিফাত (১৯), মধ্য নাজিরপুর এলাকার আলী আজম চাপরাশি বাড়ির আবুদল মালেকের পুত্র ওমর জাবেদ (২১), একই বাড়ির আবদুল মতিনের পুত্র শাহজাহান সাজু (২১), আলীপুর মুছা হাজী গাজী বাড়ির আবদুল মতিনের পুত্র রিশাদ হোসেন বাদশা (২১) ও গণিপুর এলাকার আবদুল মতিনের বাড়ির আবদুল মতিনের পুত্র গোলাম রাসেল (২২)।
র্যাব-১১ জানায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবত চৌমুহনী পৌর পার্ক ও তার আশেপাশের এলাকায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
এছাড়াও তারা চৌমুহনী পৌর পার্কে আসা দর্শনার্থীদের প্রতিনিয়ত নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন। মাদক সেবন ও মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এ গ্যাংয়ের সদস্যরা। পৌর এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্র প্রদর্শন করে আসছিলো তারা। এদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে পার্কে অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাকু, ক্ষুর ও কাঁচি জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার মাধ্যমে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এরা মূলত কিশোর গ্যাং লিডার সিফাতের নেতৃত্বে এলাকায় অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। আমরা এ গ্যাংয়ের মূলহোতা সিফাতসহ তার গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: