নিজস্ব প্রতিবেদক : সোনালী ব্যাংকের নিয়োগকৃত ২শত বিনিয়োগ কারী ২৫-৩০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছে। সার্ভার জটিলতা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দিশেহারা সোনালী ব্যাংক এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। দুই বছর ধরে দিনের অধিকাংশ সময় সার্ভার বন্ধ থাকায় কাজ করতে পারছেন না। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং এসোসিয়েশন (সাবা)'র নেতারা।
লিখিত বক্তৃতায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বাবু বলেন, সোনালী ব্যাংক পি এল সি এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করার পর থেকে সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন প্রকার ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে ১২০০ এজেন্ট চূড়ান্ত করে ৪৭৮ জন এজেন্টকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েও ২২৭ জন এজেন্ট চালু করে । কোন ঘোষণা ছাড়াই বাকি এজেন্ট নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বিগত দুই বছর আগে যখন আমাদের এজেন্ট কার্যক্রম শুরু হয় তখন টাকা জমা, উত্তোলন এবং শুধুমাত্র ব্যাক্তিক হিসাব খোলা দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করে।
এজেন্ট সার্কুলারে দেয়া কমিশন চুক্তির সময় সবার অগোচরে কমিশন লিষ্ট পাল্টিয়ে আমাদেরকে কম কমিশনের তালিকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বুজতে পেরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই, তারা বলে সবকিছু পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। কিন্তু এজেন্ট চালু করার আজ ২ বৎসর পরও আমাদের কমিশন সমন্বয় করেনি।অধিকাংশ সময়ে আমাদের সার্ভার জটিলতায় আমরা কোন কাজ করতে পারি না। বর্তমানে আমরা সার্ভার নিয়ে সর্বোচ্চ জটিলতার মধ্যে আছি দিনের তিনভাগের দুই ভাগ সময়ই আমরা সার্ভারে কোন কাজ করতে পারি না তাদেরকে জানালে বলেন ঠিক করা হবে হচ্ছে বলে সময় ক্ষেপন করে।
সোনালী ব্যাংক তারপর থেকেই আমরা যখন কমিশন বৃদ্ধি এবং সার্ভিস জটিলতা কমানো ও সার্ভিসের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে স্মারকলিপি প্রদান করি সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তখন তারা আমাদের আশ্বস্ত করলেও কোন ফলাফল পাইনি। আমরা বিগত এক বছর সোনালী ব্যাংকের কাছে বারবার দাবি দাওয়া পেশ করলেও তারা আমাদেরকে কোন সার্ভিস না দিয়েই দিচ্ছি বলে ঘোরাতে থাকে। এবং সার্ভার সমস্যা প্রতিনিয়ত লেগে থাকার কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সর্বশেষ তারা আমাদের ডিপিএস ও আরটিজিএস প্রদান করলেও বিগত চার মাস যাবত ডিপিএস এবং একাউন্ট খোলা বন্ধ রয়েছে। আমরা মনে করি, কখনোই একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভার সমস্যা এতটা স্থায়ী হতে পারে না। এখন আমাদেরকে পরিকল্পিভাবে তাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে। প্রতিটা এজেন্ট ইতিমধ্যে তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের এই সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যাংকের সাথে কম্পিটিশনে পেরে না ওঠার কারনে প্রতিটা এজেন্ট তরুণ উদ্যোক্তার ইতোমধ্যে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
আমরা সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসতে বাধ্য হয়েছি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি যতিন্দ্রনাথ বিশ্বাস জ্যোতির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক রেহমান জেমাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পাবেল মোশারফ প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: