ডেস্ক রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনা করার আগে গ্রাম ঘুরে আসুন । আরও বলেন, তৃণমূলের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিশ্বমন্দার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকার প্রধান জমির পরিপূর্ণ ব্যবহারের উপরেও জোর দেন।
সোমাবার (১৬ই মে) সকালে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা নিয়ে দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নয়নের সুফল পাবে।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে-জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, শুধু শহর নয় তৃণমূলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সরকারে পক্ষ থেকে প্রণোদনা প্যকেজ এবং ঋণ সহায়তার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ’বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। জমির পরিপূর্ণ ব্যবহার করে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।’
তৃণমূলের মানুষের অর্থনীতির উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। যারা সমালোচনা করেন তাদের গ্রামে গিয়ে মানুষের জীবন যাত্রা দেখে আসার পরামর্শও দেন এই সরকার প্রধান।
এসডিজি হচ্ছে বিশ্ব মানবতার সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত একটি কর্মপরিকল্পনা। এর মূল প্রতিশ্রুতি হলো, কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে মূল ১৭টি অভীষ্ট ঠিক করা হয়েছে।
অভীষ্টগুলো হচ্ছে- দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর, সুস্বাস্থ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, টেকসই প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও অবকাঠামো, অসমতা হ্রাস, টেকসই শহর ও জনপদ, পরিমিত ভোগ, জলবায়ু কার্যক্রম, জলজ জীবন, স্থলজ জীবন, শান্তি, ন্যায় বিচার ও টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব। এর অধীনে রয়েছে ১৭২টি লক্ষ্যমাত্রা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: