
নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় কয়েক দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এবং নগর ভবনে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় এবং কোনো কাউন্সিলরও নিজ নিজ ওয়ার্ডের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না।
প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গত ১০ দিনে সিটি করপোরেশনের অসংখ্য বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা ডেঙ্গু পজিটিভ।
সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। আর এজন্য মূলত নাসিকের অবহেলা ও ব্যর্থতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন তারা। জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গত শুক্রবার পর্যন্ত এ জেলায় ১ হাজার ৭২২ জন রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ রোগীই শহরের। এছাড়া আরও অনেক রোগী ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছে বলেও জানানো হয় সরকারি এই দপ্তর থেকে।
‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠনের সভাপতি হাজি নুরুদ্দীনের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এখন ঘরে ঘরে ডেঙ্গু—এটা একেবারে শতভাগ সত্য কথা। আমি যেই মহল্লায় বসবাস করি, সেখানে এমন কোনো ঘর নেই, যেখানে ডেঙ্গু রোগী নেই। একজনের পর এক জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চোখে পড়ার মতো মশক নিধনের কোনো কর্মসূচি নেই নাসিকের। এডিস মশা নিধনে যে কেমিক্যাল দরকার সেটা সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করতে পারে কি না বা সংগ্রহ করলেও তা মানসম্মত কি না তাতেও সন্দেহ আছে। মশা মারতে তারা একটা তেলের মতো তরল পদার্থ ছিটায়। এতে মশা মরে না।’
নাসিকের বর্তমান প্যানেল মেয়র-১ আব্দুল করিম বাবু বলেন, ‘এজন্য শুধু সিটি করপোরেশনকে দায়ী করলে চলবে না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি নিজেরা ফুলের টবে পানি জমিয়ে রাখি এবং সেখানে যদি এডিস মশা জন্ম নেয়, তার জন্য তো আমরাই দায়ী। তবে এর পরও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে প্রতিদিন। ’
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: