
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ভূয়াছড়ি বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও হেফজখানার শিক্ষক হাফেজ মো. আমিন হোসাইন.শিশু শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবির (৭)-কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ হলে সংবাদ সম্মেলন করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ কমিশনার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) জানান, মুলত পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকার অজুহাতে শিক্ষক হাফেজ মো, আমিন হোসাইন শিশু শিক্ষার্থী আবিরকে নির্মমভাবে মারধর করতেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা বিপিএম (বার)পিপিএম এর নির্দেশনা অনুযায়ী খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের চৌকস টিম ঘটনার ২৪ঘন্টার মধ্যে গোয়েন্দা সূত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষক আল আমিন হোসাইনকে চট্রগ্রাম চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী আবির হত্যার চাঞ্চল্যকর এ ক্লুলেস হত্যা মামলাটি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
গত ২৭ আগস্ট বিকাল ৫টা থেকে ৬.৩০ টার দিকে ছেলেকে পড়ানোর অজুহাতে শিক্ষকের রুমে ডেকে ডিশ তার দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে বেধড় মারধরে অসুস্থ হলে খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহমান আবির (৭)-কে মৃত ঘোষণা করার পর হাসপাতালেই মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক আল আমিন হোসাইন শিক্ষক। । এ ঘটনা ওদিন রাতেই আবিরের বাবা মো. সরোয়ার হোসেন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. আমিন হোসাইনকে আসামী করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.তফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান, খাগড়াছড়ি ওসি ডিবি মো.শামসুজ্জামান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআই ওয়ান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস
আপনার মতামত লিখুন: