নিউজ ডেস্ক : সোমবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেছে। যাত্রীর তুলনায় যাত্রীবাহী পরিবহন নিতান্তই অপ্রতুল। চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে খাড়াজোড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
রংপুরগামী পোশাকশ্রমিক ফরিদা বেগম বলেন, দুপুর পৌনে বারোটা থেকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, এখন সোয়া একটা বাজলেো। রংপুর যাবো, কিন্তু বাস পাচ্ছি না।
সোমবার দেড়টার দিকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে গাজীপুর, কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল ছুটি হয়। এতে অনেক শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার জন্য চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ভীড় করেন। কয়েকজন মিলে ভাড়া করা নিজস্ব পরিবহনেরও ব্যবস্থা করেন।
গাইবান্ধাগামী আব্দুস কদ্দুস বলেন, বাস কাউন্টারে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। গাইবান্ধা যেতে আগে লাগত ৫০০ টাকা এখন ঈদ উপলক্ষে নেয়া হচ্ছে ১,০০০ টাকা। উপায় নাই, যেতেই হবে।
ঈদুল ফিতরের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, মহাসড়কে ততই বাড়ছে যানবাহনের চাপ। হাইওয়ে পুলিশ পয়েন্ট পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে। এবার ড্রোন দিয়ে জটলা করা পরিবহনগুলো দ্রুত স্থান ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
নাওজোড় হাইওয়ে ওসি মো: শাহাদত হোসেন বলেন, দুপুরের পর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যাত্রীদের ঢল নেমেছে। যানবাহনের চাপ বেড়েই চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: