• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সমুদ্রের নিচে পারমানবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৭ পিএম
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন

নিউজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া শুক্রবার ঘোষণা করেছে তারা আন্ডারওয়াটার নিউক্লিয়ার উইপন সিস্টেম (উত্তর কোরিয়া আন্ডার ওয়াটার নিউক্লিয়ার ওয়েপন সিস্টেম টেস্ট) পরীক্ষা করেছে। এটি একটি পারমাণবিক অস্ত্র সিস্টেম যা পানির নিচে আঘাত হানতে সক্ষম। 

এর কারণ ব্যাখ্যা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ নৌ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এমনটি করা হয়েছে। পারমাণবিক শক্তিতে সজ্জিত আমেরিকান বিমানবাহী রণতরী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি জারি করে একে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।

এই হুমকির ভয়ের ভিত্তিতে কোরিয়া তার হাইল-৫-২৩ পানির নিচে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে, যেটি তারা কোরিয়ার উত্তর সাগরে তৈরি করছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে,

এই সিস্টেমটি আসলে একটি সমুদ্রের নিচের ড্রোন, যার মাধ্যমে পারমাণবিক হামলা চালানো যায়। এ ধরনের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের কাছে লাইভ ফায়ার এক্সারসাইজ করেছে। এটিও লক্ষণীয় উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন ১৯৬১ সালে গঠিত উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণের দিকে কাজ করা কমিটিগুলি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

কিম জং বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই দুই কোরিয়ার ঐক্য আর সম্ভব নয়।কোরিয়ার রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলিও সংবিধানে পরিবর্তনের কথা বলে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংবিধানে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি পরিবর্তন করে দক্ষিণ কোরিয়াকে এক নম্বর শত্রু হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবিধানের এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাংবিধানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু হিসেবে ঘোষণা করার পর তার ওপর আক্রমণ করা সহজ হবে।

কিম জং উন রাশিয়া সফর করেছেন এবং এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন পিয়ংইয়ং সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ টেনেছে এবং রাশিয়া নির্দিষ্ট ধরণের গোলাবারুদের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে; উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্রের প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়াও রাশিয়াকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে আমেরিকা। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সাহায্য করছে আমেরিকা। এমতাবস্থায় উত্তর কোরিয়া যদি দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে আমেরিকার জন্য আরেকটি ফ্রন্ট খুলে যাবে, এখানেও তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আমেরিকা ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সাহায্য করছে। হুথিদের হামলার পর লোহিত সাগর ও ইয়েমেনেও ফ্রন্ট খুলতে হয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত কৌশল হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খুলে এখানেও আমেরিকাকে ফাঁসানো।

তাইওয়ানের নির্বাচনের পর চীনও তাইওয়ানকে ব্যারিকেড করার কাজে নিয়োজিত। তাইওয়ান শুধুমাত্র আমেরিকার সহায়তায় চীনের সাথে লড়াই করে। এখানেও যদি একটি ফ্রন্ট খোলা হয়, তাহলে আমেরিকা যুদ্ধ করতে কোথায় যাবে এবং কতটা সাহায্য দিতে পারবে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে দেওয়া বিশাল সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে খোদ আমেরিকাতেই। ইয়েমেনে হামলার বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমতি না নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বিডেনকে কোণঠাসা করা হচ্ছে, আমেরিকাতেও নির্বাচন সামনে আসছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image