নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার বাইরে প্রায় দেড় দশক। আর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবিতে বিএনপি সরব এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। সম্প্রতি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকার আর নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকারের বার্তা দেন। যা নিয়ে দলটিতে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, সবখানেই প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় সরকার নিয়ে। আছে বিভ্রান্তিও।
দলটির অনেকের মতে, আন্দোলন চাঙ্গা করার কৌশল হিসেবে জাতীয় সরকারের বার্তা দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। কেউ একে বলছেন, বিএনপির উদারতা। আবার কেউবা একে পর্দার আড়ালের সমঝোতা মনে করছেন। তবে, জাতীয় সরকারের ডামাডোলে বিএনপি যাতে সরকার পতনের আন্দোলন থেকে সরে না যায় সেদিকেই খেয়াল রাখার আহবান নেতাদের।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম জানান, এখন একটিই এজেন্ডা থাকা উচিত, আর তা হল এই সরকারের পতন। তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষে পৌঁছানোর জন্য কাজ করতে হবে এবং সবাই ভূমিকা রাখবেন এটাই সবার কাছে চাওয়া।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু জানান, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে ভাল নির্বাচন ও ভাল সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সরকার হলো দেশকে ভালো করে চালানোর জন্য বিএনপি‘র একটা আইডিয়া।
জাতীয় সরকারের বার্তা নাড়া দিয়েছে বিএনপির তৃণমূলেও। নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকারের বার্তাকে বিএনপির আন্দোলনেরই আরেকটি কৌশলও বলছেন অনেকে।
বিএনপির জাতীয় সরকারের ধারণাকে ক্ষমতাসীন দল নানা ভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন অনেকে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: