আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শুক্রবার। ভোট গ্রহণ চলবে তিন দিন। বিশেষ কিছু এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এরই মধ্যে ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে। রাশিয়ার ১১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ এ নির্বাচনে ভোট দিবে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নিকোলাই খারিটোনভ, নিউ পিপলস পার্টির নেতা ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ এবং লিবারেল ডেমোক্রেসি পার্টির নেতা লিওনিড স্লুুটস্কি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে কেউই যদি প্রদত্ত ভোটসংখ্যার অর্ধেকের বেশি ভোট না পান, তাহলে প্রথম নির্বাচনের ২১ দিন পর পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলসহ রাশিয়ার সব ভোটারকে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে অংশ নিতে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের এখন ঐক্য ও সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যক। আপনাদের দেওয়া প্রতিটি ভোটই মূল্যবান। আগামী তিন দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিভিন্ন জনমত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং ঐ তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটে বিজয়ী হবার তেমন সুযোগ নেই। রাশিয়ার জনমত রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, পুতিন শতকরা ৮২ ভাগ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শতকরা ৭১ ভাগ ভোটার ভোট দেবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকবেন যথাক্রমে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব রাশিয়ার নেতা এবং লিওনিড স্লুটস্কি। তারাও এই নির্বাচনে দেশের জনগণের ৫ শতাংশ ভোট পাবেন বলে জরিপে উঠে এসেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: