নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম আধুনিক সমুদ্র বন্দর পায়রার প্রথম জেটি পটুয়াখালীর রামনাবদ নদী তীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। সব কাজ প্রায় শেষ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরে এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপরই শুরু হবে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম।
জানা যায়, নির্ধারিত সময়ে এ বন্দরের কাজ শেষ করতে পায়রায় চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। দিনে এবং রাতে - তিন ধাপে কাজ করছেন অন্তত দুহাজার শ্রমিক। আমদানি-রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সব সুবিধা নিশ্চিত করেই নির্মাণ করা হচ্ছে এ বন্দরের প্রতিটি স্থাপনা। তবে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সার্ভিস জেটি ও ওয়ার হাউসের কাজ।
পায়রা বন্দরের সহকারী প্রকৌশলী মো. বাছির উদ্দিন বলেন, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ২৪০ মিটার জেটি এতে সংযুক্ত হবে। এর নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এখানে দিন-রাত তিন শিফটে কাজ চলছে।
ব্যাকআপ ইয়ার্ড এবং মূল জেটির কাজও প্রায় শেষের পথে। এ বন্দরে ৬৫০ মিটারের মূল জেটি ও ৩২৫ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ডে একসঙ্গে ২০০ মিটারের তিনটি মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাস করতে পারবে। তাই বিদেশিরাও এখানে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের প্ল্যানিং হওয়ার দরকার, তার সবই এখন পায়রা বন্দরে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ বন্দরের প্রথম জেটি আগামী অক্টোবরেই উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি উদ্বোধনের পরই রয়েছে একটি কন্টিনাল টার্মিনাল অ্যাড; যার দৈর্ঘ্য ১৪শ মিটার। এছাড়া ১২শ মিটার দৈর্ঘ্যের আরও একটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, ‘শুধু দেশি নয়, বিদেশিরাও এখানে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হচ্ছেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বন্দর ঘিরে পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক দৃশ্যপট।
পায়রা বন্দরের প্রথম জেটি প্রকল্পে আছে: ৬৫০ মিটারের মূল জেটি ও ৩২৫ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড। এছাড়াও ৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক এবং আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১.১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু।
প্রথম জেটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে সড়ক পথে সংযোগের জন্য এ প্রকল্পের মধ্যেই নির্মাণ হচ্ছে ৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়ক এবং আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১.১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: