জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের (ঈগল) কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উভয় প্রার্থীর।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্র ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় ডা. মুরাদ হাসানের সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ২৫ কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার রাতে সরিষাবাড়ি পৌর এলাকার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাক্তার মুরাদ হাসানের ৪-৫ জন কর্মী পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়ায় নৌকার প্রচারণা অফিসে হামলা চালায়। সেসময় তারা চেয়ার ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। হামলায় আহত হন নৌকার প্রার্থীর দুই কর্মী—মান্নান ও শাকিল।
পরে খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের প্রচারণা অফিসে পাল্টা হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের কর্মীরা। তারা সেখানে চেয়ার ভাঙচুর করে এবং ১০ কর্মীকে আহত করে। আহতরা সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল বলেন, 'মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি মুকুলের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। নৌকার পক্ষে সবাই কাজ করছে, এটা দেখে ডা. মুরাদ হাসানের সমর্থকরা আমাদের কর্মীদের ভয়ভীতি দেখায় ও হামলা করে। বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে।
অভিযোগের বিষয়ে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সর্মথকদের কি মাথা নষ্ট হয়ে গেল? জনগণ কি তাকে প্রত্যাখ্যান করলো? তাহলে কেন তাদের আক্রমনাত্বক আচরণ? প্রশ্ন তুলেছেন ডা. মুরাদ।
এছাড়া তিনি বলেন, জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছেন তারা। যেন ভোটের দিন ভোটাররা না যায় এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সেটাই তারা চায়৷
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: