• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

টোলের আওতায় আসছে ৭ মহাসড়ক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫১ পিএম
টোলের আওতায় আসছে ৭ মহাসড়ক
মহাসড়ক

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে ৪টি সড়কে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। নতুন করে আরও ৭ সড়ককে টোলের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।

জানা গেছে, নতুন করে ঢাকা-সিলেট, সিলেট-তামাবিল, ঢাকা-চট্টগ্রাম,  ঢাকা-রংপুর, ঢাকা বাইপাস সড়ক, ভাঙ্গা-বেনাপোল ও ভাঙ্গা-বরিশাল টোল আদায় করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সবার আগে টোল আদায় করা শুরু হতে পারে। 

আরও জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়ে মানে উন্নীতের পর  টোল আদায় শুরু হবে। একইভাবে চার লেনে উন্নীতের পর টোল আদায় শুরু হবে ভাঙ্গা-বেনাপোল ও ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে। 

এ সাত মহাসড়কই পড়েছে ‘‌গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক’ শ্রেণিতে। ২০১৪ সালের টোল নীতিমালা অনুযায়ী, এসব সড়কে যানবাহনের ভিত্তি টোল কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা। বর্তমানে এ নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ভিত্তি টোলের সঙ্গে প্রতি বছর সমন্বয় করা হবে ভোক্তা মূল্য সূচক (পরিবহন)। অর্থাৎ ভোক্তা মূল্য সূচক বাড়লে প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে টোলের হার।

যানবাহনের টোল আদায়ের জন্য ১৩টি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। যানবাহনভেদে টোল হারে রয়েছে ভিন্নতা। সবচেয়ে বেশি টোল নির্ধারণ করা আছে ‘‌ট্রেইলার’ শ্রেণির মোটরযানের। অন্যদিকে সবচেয়ে কম টোল নির্ধারণ করা আছে রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, ঠেলাগাড়ির মতো যানবাহনের, যেগুলো মোটরচালিত নয়।

সওজ অধিদফতর জানিয়েছে, নতুন সড়কগুলোর মধ্যে সবার আগে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হতে পারে। এরই মধ্যে মহাসড়কটির জয়দেবপুর-এলেঙ্গা অংশ চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। দুই পাশে রয়েছে দুটি আলাদা সার্ভিস লেন। এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কটি একইভাবে উন্নয়ন করা হচ্ছে। নির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী মহাসড়কটির উন্নয়নকাজ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। 

আলাদা সার্ভিস লেনসহ ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়কও চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ২০২৫ সালের জুনে ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারিত আছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল এবং ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কটি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সওজ অধিদফদতর। চার লেনে উন্নীতের পর এ দুই সড়ক থেকেও টোল আদায় করা হবে।

ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি জয়দেবপুর থেকে শুরু হয়ে দেবগ্রাম, ভুলতা হয়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে ও দুইপাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ করা হচ্ছে, যার কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পিপিপি চুক্তি অনুযায়ী, নির্মাণ-পরবর্তী ২৫ বছর সড়কটি থেকে টোল আদায় করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক্সপ্রেসওয়ে মানে উন্নীতের পরিকল্পনা করছে সওজ অধিদফতর। এ লক্ষ্যে বর্তমানে একটি সমীক্ষার কাজ চলমান, যা আগামী মার্চে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সমীক্ষা শেষে দ্রুতই মহাসড়কটির উন্নয়নকাজ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিদফতরের প্রকৌশলীরা। এক্সপ্রেসওয়ে মানে উন্নীতের পর টোল আদায় শুরু হবে এ সড়ক থেকেও।

সওজ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, আমরা কিন্তু এ সড়কগুলো থেকে এখনই টোল আদায় শুরু করছি না। আগে সড়কগুলোতে প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর উন্নয়ন করা হবে। সড়কগুলোয় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত হিসেবে গড়ে তোলা, সার্ভিস লেনের মতো বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা রাখা, টোল প্লাজার মতো অবকাঠামো নির্মাণের পরই টোল আদায়ের কাজ শুরু করা হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image