
মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামীকাল চালু হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাঁজাপুর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন রেলপথ।
ইতিমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডাবল লাইন চালু হলে গুরুত্বপূর্ণ এ রেলপথে দ্বিগুনের বেশী গতিতে ট্রেন চলবে। সে সাথে নতুন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সময় সাশ্রয়সহ যাত্রী সেবার মান বাড়বে। ৯ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথে ১৯০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ ও বিদ্যমান লাইনকে ডুয়েল গেজে রুপান্তর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে কসবা রেলস্টেশনের কাজ ও সালদানদী রেলসেতুর কাজে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফের বাঁধাসহ নানা কারণে অবশিষ্ট কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়। বর্তমানে এ রেলপথের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে কসবার মন্দবাগ এলাকার আংশিক রেলপথ ও সালদানদী রেল ব্রীজের কাজ বিএসএফের বাধায় নির্মাণকাজ বিঘ্নিত হওয়ায় ওই দুটি অংশ থেকে কুমিল্লার শশীদল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ক্রসওভারের মাধ্যমে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে শীঘ্রই তা স্থায়ীভাবে সমাধান করে ডাবল লাইনেই পুরোদমে ট্রেন চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন চলমান রয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
তিনি আরো জানান, ৯ ফেব্রুয়ারী কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাঁজাপুর সেকশনে আরো ৩২ কিলোমিটার রেলপথ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ডাবল লাইন ট্রেন অপারেশন উদ্বোধন করা হবে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লাইনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
এদিকে ডবল লাইন নির্মাণের ফলে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ দুর্ঘটনাও কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন লাইন চালুর উদ্যোগে এ রেলপথের যাত্রীরা উচ্ছসিত।
আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের প্রকল্প পরিচালক মোঃ সুবক্ত গীন বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের লাইফ লাইন। এ পথ ডবল লাইন করার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ যাত্রাপথে অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় সাশ্রয় হবে। ৯ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করবেন। অবশিষ্ট রেলপথ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: