নিউজ ডেস্ক: লিবিয়া, তিউনিশিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় ইতালি৷ এক্ষেত্রে অভিবাসীদের সহায়তা করা সংস্থাগুলোকে বাধা বলে মনে করে আসছে ক্ষমতাসীন ডানপন্থি সরকার৷ তাদেরকে অর্থায়নে নেয়া একটি প্রকল্প নিয়ে বার্লিনের ওপরও নাখোশ রোম৷ জার্মানি ইতালির জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রোসেট্টো৷ ইতালির মাটিতে অভিবাসীদের দেখভালের জন্য অর্থায়নকে রোম অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করছে৷
দৈনিক লা স্টাম্পাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানবপাচারকারীদের ঠেকাতে তার সরকার বদ্ধপরিকর৷ তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের ‘আন্তর্জাতিক অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন৷
তবে জার্মানি এই বিষয়ে আগেই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, সমুদ্র থেকে মানুষকে উদ্ধার করাকে ‘আইনি, মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব’ বলে মনে করে বার্লিন৷
অভিবাসীদের সহায়তার বিষয়ে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন এই বিষয়ক প্রকল্পে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত দেশটির পার্লামেন্টের৷ এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তিতে চার লাখ থেকে আট লাখ ইউরো ছাড় করা হবে৷ ভূমিতে অভিবাসীদের দেখভাল করা এবং সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধারে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷
যে সংগঠনগুলো এই টাকা পেতে যাচ্ছে তার একটি ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের সহায়তাকারী সংস্থা এসওএস হিউম্যানিটি ৷ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা জার্মান সরকারের কাছ থেকে সাত লাখ ৯০ হাজার ইউরো পেতে যাচ্ছে৷
ইতালির সরকারের হিসেবে নৌকায় করে চলতি বছর এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩২ হাজার জন ইতালি পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ হাজার৷
অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা ইতালির সরকার চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য তারা আটককেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশপাশি বন্দি রাখার সময়সীমা বাড়াবে৷
সুরক্ষা প্রাপ্তির আবেদনের প্রক্রিয়া চলাকালে অর্থের বিনিময়ে অভিবাসীরা বন্দিদশা এড়াতে পারবেন এমন একটি নিয়মও আরোপ করা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করছে৷
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: