• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চলনবিলে গড়ে উঠছে ফ্রিল্যান্সার তৈরির হাব


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৯ এএম
গড়ে উঠছে চলনবিলে
ফ্রিল্যান্সার তৈরির হাব

নিউজ ডেস্ক : নাটোরের সিংড়ায় ১৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার’। একই জায়গায় চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হাইটেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার। এক জায়গায় চারটি প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে জেনে খুশি ফ্রিল্যান্সারসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার। আইসিটি বিভাগের অধীনে হাইটেক পার্কটি বানানো হচ্ছে ৪৩ কোটি টাকা খরচে। এ ছাড়া ১৫৪ কোটি টাকা খরচে করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার।

এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৪ কোটি টাকা খরচে নির্মাণ করা হচ্ছে সিংড়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।

এরই মধ্যে হাইটেক পার্ক ও গণপূর্ত বিভাগের অধীনে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে চারটি প্রতিষ্ঠানেরই কাজ শেষের দিকে। হাইটেক পার্কটি নির্মাণ করছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড।

নির্মাণকাজ শেষ হলে চলনবিলের অন্তত ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

এদিকে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশার আলো দেখছেন চলনবিলের ফ্রিল্যান্সাররাও। 

তারা মনে করছেন, চলনবিলের প্রত্যন্ত এলাকায় ফ্রিল্যান্সার তৈরির সূতিকাগার হবে এটি। উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন তারা।

হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মশিউর রমজান বলেন, ২০২০ সালে আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে কাজের অনুমতি দেরিতে পাওয়ার কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

ইঞ্জিনিয়ার বাসেদ রহমান বলেন, হাইটেক পার্কের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করতে পারব।

ফ্রিল্যান্সার বুলবুল আহমেদ রাব্বী বলেন, শস্যভান্ডার হিসেবে সারা দেশের মানুষ চলন বিলকে চেনে ও জানে। তবে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নির্মাণ করা হলে দেশের মানুষ নতুন করে চলনবিল তথা সিংড়ার মানুষকে চিনবে। এখানে উত্তরাঞ্চলের তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘোচাতে পারবে।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে একখণ্ড সিঙ্গাপুর গড়ে উঠবে। চলনবিলের শিক্ষিত বেকাররা ডিজিটাল সিটি সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে অন্তত ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image