• ঢাকা
  • সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে দুই বন্ধু’র মৃত্যু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৩ এএম
ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে
গোসল করতে নেমে দুই বন্ধু’র মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে মাহিম মিয়া (১৬) ও অমিও সরকার নামের দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টা ও ২টার দিকে উপজেলার বালাসীঘাট থেকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

নিহতরা দুজনেই জেলা শহরের আহম্মেদ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গাইবান্ধা জেলা শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়ার আনোয়ার হোসনের ছেলে মাহিম ও একই এলাকার লিটনের ছেলে অমিও। 

জানা যায়, বালাসীঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে মাহিব ও নাহিদসহ ৬-৭ জন বন্ধু গোসল করতে নামে। এসময় হঠাৎ করে তারা নদীর মাঝখানে গেলে পানিতে ডুবে হাবুডুবি খেতে থাকে। পরে তাৎক্ষণিক অন্যরা সাঁতার কেটে নদীর তীরে আসলেও নিখোঁজ হয় মাহিম ও ওমিও। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

তাদের সাথে গোসল করতে যাওয়া নবম শ্রেণির ছাত্র তামিম ইসলাম নিরব বলে, ‘আমরা ছয় বন্ধু বালাসীর ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে যাই। এরমধ্যে ওমিও এবং মাহিব গোসল করতে নদীতে নামে। এরপর একে একে সবাই নামলেও দীর্ঘক্ষণ পর ওমিও ও মাহিমকে খুঁজে না পাওয়ায় চিৎকার করতে থাকি।’ 

স্থানীয়রা জানান, কয়েক জন শিক্ষার্থীরা নদীর পাড় থেকে চিৎকার করে। পরে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। ওই শিক্ষার্থীরা জানায় দুই বন্ধু পানির নিচে ডুবে গেছে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় সাড়ে ১২টার দিকে অমিও’র মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজ মাহিমকে উদ্ধারে জন্য রংপুর থেকে ডুবুরি দল অসে। দুপুর আড়াইটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

ফুলছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাজীব বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল নদী থেকে ডুবে যাওয়া দুই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা চার ছাত্রকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image