নিউজ ডেস্ক : নতুন তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাচ্ছে। যাচাই-বাছাই না করে ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উচ্চশিক্ষার মান কমছে বলছেন শিক্ষাবিদরা। মতামত উপেক্ষা করে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে হতাশ খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও।
১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অনুমোদন পেয়েও এখনো কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করলেও দীর্ঘসময় ধরে অস্থায়ী ক্যাম্পাস, উপাচার্য না থাকা, আইন না মানা ও সনদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সর্তক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে, ব্যর্থ হচ্ছে মানরক্ষায়- এ অবস্থায় আরও তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঝিনাইদহে সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং রাজধানীতে প্রায় শ’খানেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকার পরও পূর্বাচলে সাউথ পয়েন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টোকনোলজি নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান জানান, ‘এমনও অতীতে হয়েছে, আমরা বলেছি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে, যেভাবেই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি তারা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যারা মান ধরে রাখতে পারেনি তারা কিন্তু হারিয়ে গেছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বর্তমানে আছে এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও একসময় ছিটকে পড়বে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: