• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দ্বাদশ নির্বাচনেও অংশগ্রহণমূলক ভোট প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১৩ এএম
দ্বাদশ নির্বাচনেও অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রত্যাশা
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক : জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। যদিও তিনি বিরোধীদের আন্দোলন ও ভোটে না আসার হুমকি নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশেও অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রত্যাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার।

চলতি বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি এও বলেন যে, একটি গোষ্ঠী পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হলে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের মতো ভোট বর্জনের আগাম ঘোষণার মধ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই আশার কথা বললেন সরকারপ্রধান।

সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই ভাষণ প্রচার হয়। আগে থেকে রেকর্ড করা ভাষণটি দেশের সব কটি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট শেষে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি শপথ নেয় শেখ হাসিনার টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার।

আগামী নির্বাচনের এক বছরের মতো সময় বাকি থাকলেও এখনও ভোটের হাওয়া তৈরি হয়নি। বরং নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী পক্ষের অবস্থানের কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন পূরবর্তী সহিংসতার শঙ্কার কথা বলাবলি হচ্ছে।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পুলিশ সপ্তাহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও এই প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ২০১৩ থেকে ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে করতে দেয়া হবে না।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’

সরকার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১১ সালের প্রথম প্রান্তিকে উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ওই বছর নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফেরায় আওয়ামী লীগ সরকার।

এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। সেই সঙ্গে সেই নির্বাচন বানচালে যায় আন্দোলনে। তবে বিরোধীদের বর্জনের মুখে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ।

একতরফা নির্বাচন করেছে জাতীয় পার্টি এবং বিএনপিও। তবে তাদের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সরকার দুই বছরের কিছু বেশি সময় এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটের পর বিএনপি সরকার টিকে থাকে অল্প কদিন।

তবে আওয়ামী লীগ সরকার মেয়াদ পূর্তি করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেয়। সেই নির্বাচনের আগে আবার আন্দোলনের ঘোষণা দিলেও তাতে অংশ নেয় বিএনপি। ২০-দলীয় জোটের পাশাপাশি গড়ে তোলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে আরও একটি জোট।

তবে সেই নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে আবার তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের এই দাবি নাকচ করে এমনকি আলোচনায় না বসার কথাও বলছে। তারা বলছে, উচ্চ আদালত এবং জাতীয় সংসদ- দুই জায়গাতেই তত্ত্বাবধায়কের বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেটি ফেরার আর সুযোগ নেই।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিরোধীদের এই দাবি নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে পরোক্ষভাবে তিনি তার সরকারের অবস্থানও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রেও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image