নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ অনুযায়ী যখন যে প্রস্তুতি নেয়া দরকার আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংবিধান মেনে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সংবিধানের বাইরে তো কিছু করার এখতিয়ার নেই ইসির।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (১১ সেপ্টম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ইসি আলমগীর।
তিনি বলেন, সুধীজনদের সঙ্গে ১৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক। নির্বাচন নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা করেন অথবা বিভিন্ন সময় নির্বাচন করেছেন, তাদের কাছ থেকে আমরা ফিডব্যাক নেবো। আমরা যে কাজ করলাম এতে তাদের মতামত কী। যদি তাদের কোনো গুড সাজেশন থাকে ভালো, নির্বাচনের জন্য আরো কী করা যেতে পারে এগুলোই শুনবো।
ইসির সাবেক সচিব বলেন, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টা রাজনৈতিক। রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টা দেখবে। কিছু করার আছে কি না। সংবিধান তো ইসিকে এই সমস্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কোনো সুযোগ দেয়নি। সংবিধানের বাইরে তো কিছু করার এখতিয়ার নেই ইসির।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী, সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে এমন কোনো বিধি-বিধান নেই। নির্বাচন অনিয়ম হয় এমন অভিযোগ দেখার জন্য আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। এ জন্য যে অভিযোগ আসলেই সঠিক কি না তা দেখার জন্য। কিন্তু এটা তো কোনো ভোটের প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না। ৩০০ আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা সম্ভব না। এতো সিসি ক্যামেরা কে দেবে। এতো সিসি ক্যামেরা দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নাই। কয়েকটা সংগঠন মিলেও এতো সিসি ক্যামেরা দিতে পারবে না।
আরও বলেন তিনি, প্রায় দুই, আড়াই লাখ সিসি ক্যামেরা কীভাবে দেবে। ইন্টারনেটের সংযোগ কীভাবে দেবে। কীভাবে এতো ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করবেন। এটা তো সম্ভব না। ঝূঁকিপূর্ণ আসনেও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা সম্ভব না। কারণ অনেক কেন্দ্র থাকে। ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ঠিক হয় নির্বাচনের আগে, ঐ সময় বাজেট আনা অসম্ভব।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: