
সুমন দত্ত: যে দেশের সরকার সাধারণ একটি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না। তারা করবে জাতীয় নির্বাচন !
নিম্ন আদালতের সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ধরা পড়ে নির্বাচনের প্রথম দিন।
অতিরিক্ত ব্যালটের সংখ্যা এক হাজারের মতো হবে। হাতে নাতে এই কারচুপি বিএনপি জামাত সমর্থিত প্রার্থীরা ধরে ফেলে। পরদিন বিএনপি জামাতের আইনজীবীরা ভোট বর্জন করে। এক তরফাভাবে জিতে যায় আওয়ামী লীগের প্যানেল।
অথচ ফেয়ার নির্বাচন হলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ বেশিরভাগ পদই জিতত আওয়ামী লীগ। দুই একটা পদ পেত বিএনপি-জামাত সমর্থকরা। মাঠ পর্যায় থেকে এমন আভাস মিলছিল।
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সেই একই কাজ করল আওয়ামী লীগ। এখানেও মাঠ পর্যায় থেকে আভাস মিলছিল আওয়ামী লীগ জিতবে। কারণ প্রতিবার আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হলেও এবার ছিল এক জোট। অথচ এখানেও সেই অতিরিক্ত ব্যালটের দুর্নীতির অভিযোগে ভোট বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি জামাতের আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা কেউ আওয়ামী লীগ বিএনপি করলেও দিন শেষে তারা আইনজীবী। এক টেবিলে বসে চা খান। তাদের মধ্যে দলবাজির চেয়ে আইনজীবী ঐক্য সবার আগে। এ কারণে অতীতে দেখা গেছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী প্যানেল বিজয়ী হলেও তারা কাজ করেছে সবার জন্য। নির্বাচিত হবার পর তারা সবাই হয়ে যান সকল আইনজীবীর অভিভাবক। তখন থাকে না কোনো দল বাজি। অথচ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজকের দিনে কি সব হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিমকোর্টের প্রবীন এক আইনজীবী।
এবার সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে দেখা গেল পুলিশ পিটিয়েছে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে। সুপ্রিমকোর্টে যেসব পুলিশ ডিউটি করে তারা সাংবাদিকদের চেনে। কোন কোর্টে কোন মামলা চলছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা টিমই সাংবাদিকদের আগে জানিয়ে দেয়। সুপ্রিমকোর্টে কয়েক বছর প্রতিবেদকের কাজ করতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। এ কারণে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে সেখানকার পুলিশ সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। নিশ্চয় পুলিশের কাছে এই ঘটনার যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা আছে। প্রধান বিচারপতি নিশ্চয় বিষয়টি দেখবেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: