নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি তার জবাব দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক খালিস্তানপন্থি নেতাকে মার্কিন মুলুকে বসেই হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ নিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকজন অপরাধী ও সন্ত্রাসীসহ অন্য কয়েকজনের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি তারা সম্প্রতি দুই দেশের ‘টু প্লাস টু’ আলোচনায় উত্থাপন করেছিল বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।
তবে ওই বৈঠকে যে বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তখন কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা নিজে থেকে কিছু জানাননি। কিন্তু এখন বিষয়টি বিদেশি সংবাদপত্রে প্রকাশের পর বুধবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা স্বীকার করেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে লিখিতভাবে জানান, ওই আলোচনায় সংগঠিত অপরাধী চক্র, আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি, সন্ত্রাসবাদী ও অন্যদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু তথ্য ভারতকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের জন্যই সে তথ্যাদি উদ্বেগজনক। দুই দেশই ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপযুক্ত বিভাগগুলো সেসব তথ্য খতিয়ে দেখছে বলে জানান।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস দাবি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সে দেশের নাগরিক একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র তারা ব্যর্থ করেছে এবং ওই ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ওই প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
ওই ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নাগরিক গুরপতবন্ত সিং পান্নুন যিনি ‘শিখস ফর জাস্টিস’ নামে একটি সংগঠনের আইনজীবী। সংগঠনটি একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র খালিস্তান গঠনের প্রচারাভিযান চালায়। পান্নুনকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করে ভারত।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: