হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অতিদরিদ্র কর্মসূচির কাজের নামের তালিকায় রনি হোসেন নামে এক কোটিপতি মাস্টার্স পাশ যুবকের নাম এসেছে। এবং ওই যুবক কাজে অনুপস্থিত থেকেও দেদারচ্ছে টাকা উত্তোলন করে খাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ তদারকি না করায় এবং কর্মসূচির তালিকায় উচ্চবিত্তশালীদের নাম তালিকায় আসেছে। এ নিয়ে ওই এলাকার আলোড়ন ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গতকাল বুধবার (৭ডিসেম্বর) স্বরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে, দেখা গেছে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে রাস্তায় কয়েকজন লোক মাটির কাজ করছিল।
এসময় লেবার সর্দার সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন আমার নাম এ তালিকায় নেই আনছারুল হোসেনের পরিবর্তে আমি দ্বায়িত্ব পালন করছি। তাছাড়া অনেক লোক কাজ না করেই সরকারি টাকা খাচ্ছে। তালিকা ঘেটে আরো দেখাযায়, সংশ্লিষ্ঠ্য ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলাম তার কোটিপতি ভাগিনা রনি হোসেনের নামে অতিদরিদ্র কর্মসূচির তালিকায় নাম অন্তভূক্ত করেছে। সে কাজ না করেও নিবন্ধন বিহীন মোবাইল নাম্বারে সরকারি টাকা উত্তোলন করে চলেছে। বাড়িতে গিয়ে কথা হয় রনি হোসেনের বাবা আনসারুলের সাথে। তিনি একান্ত স্বাক্ষাৎকারে জানায়, আমার একমাত্র ছেলে রনি সে শিক্ষাগত যোগ্যতায় মাস্টাস পাশ। আমাদের ২০ বিঘার অধিক জমি রয়েছে, মোটামুটি ৪ কক্ষ বিশিষ্ঠ্য বাড়িটি পাকা করেছি।
সংশ্লিষ্ঠ্য ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রনি আমার ভাগিনা। আমি তার নাম তালিকায় দিয়েছি। সে অতিদরিদ্রের কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সবাই এরকম বিত্তশালীদের নাম দিয়েছে আমিও দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়্যেল মাড্ডি বলেন, কোটিপতিদের নাম যদি থেকে থাকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। তাছাড়া আমাদের তদারকি (সহকারি প্রকৌশলী) কর্মকর্তা নেই ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, এরকম নাম যদি থেকে থাকে প্রথমত সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে তলব করা হবে। দ্বিতীয়ত তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, তারপরে দ্রুত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: