![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতকে বিশ্বমঞ্চে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে তুলে ধরেছেন, দেশটির সাম্প্রতিক আর কোনো নেতা তা পারেননি। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি। মোদি ভারতকে ও এর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নের মতো বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার একটি পক্ষ করে তুলেছেন। পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার এবং গ্লোবাল সাউথের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এই বিজয় মোদি (৭৩) ও তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) আরও পাঁচ বছর বিশ্বে ভারতের মর্যাদা বাড়ানোর সুযোগ দিল। এ ছাড়া এই সময়কালে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ও বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সামলানোরও সুযোগ পাবেন তিনি।
তবে এক দশক ধরে মোদি যে প্রভাব নিয়ে ক্ষমতা উপভোগ করেছেন, এবারের নির্বাচনের ফল তাঁকে তা থেকে পুরোপুরি ভিন্ন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে। বর্ণিল এ নেতা ও তাঁর দল বিজেপি প্রত্যাশিত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জোটের অংশীদারদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, যখন নাগরিক স্বাধীনতা এবং তরুণদের বেকারত্ব বৃদ্ধির মতো সমস্যা সমাধান করার কথা, তখন ভারতে ইসলামভীতি ও ধর্মীয় সহিংসতায় ইন্ধন জোগানোর ফলে নির্বাচনে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছেন মোদি।
‘দ্য আনফিনিশড কোয়েস্ট : ইন্ডিয়াস সার্চ ফর মেজর পাওয়ার স্ট্যাটাস ফ্রম নেহরু টু মোদি’ বইয়ের লেখক টি ভি পাল বলেন, এখন মোদিকে জোট সরকার ধরে রাখতে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে অনেক সময় দিতে হবে। তাঁর এ মেয়াদে বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রভাব দেখানোর ধারণাটি অনেক কম কার্যকর হতে পারে। লোকজন যতটা ভেবেছিল, বৈদেশিক নীতির বিষয়গুলো নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ততটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
তবে প্রশ্ন হলো, মোদির নতুন মেয়াদে তাঁর ডানপন্থি নেতৃত্বের অধীনে ভারতে নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন সম্পর্কে আমেরিকান নীতিনির্ধারণী মহলে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, পাশাপাশি বিজেপি দেশটির ২০ কোটিরও বেশি মুসলিম সংখ্যালঘুকে কোণঠাসা করার লক্ষ্য নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: