নিউজ ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে মাথা ঘামাবেন না, তাদের কাজ নির্বাচন, সেদিকেই মনোযোগ দেবেন তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আইন তো এখনো হয় নাই। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে যাওয়া তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার ও পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করব?
‘কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা। আমরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেব।’
নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম এবং এটি দেয়ার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন, যার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে নাগরিকদের দেয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। বর্তমানে ইসির কাছে সংরক্ষিত এনআইডি সার্ভার থেকে সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টির মতো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচিতি শনাক্ত করে নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করব। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক; সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কি না, যদি ইভিএমে ভোট হয় আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কি না- এগুলো আমাদের বিষয়।’
ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি পেপারে পড়লাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে।
এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলব। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রসেস যদি বিঘ্নিত হয় তখন আমরা দেখব।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, আমরা একা পারব না। সবার সহযোগিতা লাগবে। প্রশাসনের সহযোগিতা লাগবে। মিডিয়ার সহযোগিতাও লাগবে। যেকোনো অনিয়ম আপনাদের চোখে পড়লে সেটা অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আমরা নির্দ্বিধায় ওটাকে সমাধান করব। আমরা সবাই মিলে যেন ছোট্ট একটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: