নিউজ ডেস্ক : এলসি করতে বাধা নেই, তবে আন্ডার কিংবা ওভার ইনভয়েসিং হলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এ ছাড়া ডিসেম্বর নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কেটে যাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইআরডি বিভাগের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে আমদানিতে এলসি বা ঋণপত্র খুলে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং চেষ্টা করলে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণে দেশের ভাবমূর্তি অর্জনে সহায়তা করবে। পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা বাড়বে।
তবে এটিও মনে রাখা দরকার যে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দাভাবের পাশাপাশি বৈশ্বিক চাপ এরই মধ্যে খাদ্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ সব পর্যায়ে যানবাহন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করায় ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে গেছে। আবার বিশ্ববাজারে রফতানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও কমে গেছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় টেকসই বাণিজ্য নিশ্চিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মকৌশল নিতে হবে। বিদ্যমান যে ব্যবসা পরিবেশ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী চার বছরের মধ্যে উত্তরণ সম্ভব না।
এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আইএমএফ দেশ চালায় না; আমরা চালাই। সুতরাং প্রান্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এমন পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: