নিউজ ডেস্ক : পর্তুগালের পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা বিষয়ক সচিব ড. ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে জানিয়েছেন, ঢাকায় দূতাবাস স্থাপিত হলে বিভিন্নখাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী পর্তুগালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হতে পারে মন্তব্য করে তিনি জানান, সৌর এবং জলবিদ্যুৎ নির্ভর জ্বালানিখাতে পর্তুগালের অভিজ্ঞতা নিতে পারে বাংলাদেশ।
এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতেও পর্তুগাল বাংলাদেশকে সমর্থন করে জানিয়ে আন্দ্রে বলেন, আগামী ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়ান সামিটে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আবারও আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। তখন বাংলাদেশের প্রতি পর্তুগালের সমর্থন থাকবে।
পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্পোর্টস কূটনীতির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, পর্তুগালে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে পর্তুগালের কাছ থেকেও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে গত জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন যোগ দিতে পর্তুগাল সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেজ ক্রাবিনহোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা আবেদন গ্রহণের জন্য ঢাকায় অন্তত একটি কনস্যুলার সার্ভিস সেন্টার খুলতে পর্তুগালের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এটা পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনকে সহজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ লিসবনে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিচালনা করে আসছে এবং সম্প্রতি মিশনটির স্থায়ী ঠিকানার জন্য সেখানে জমিও ক্রয় করা হয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ-পর্তুগাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে পর্তুগালের একটি চ্যান্সারি খোলা হবে সবচেয়ে উপযুক্ত সৌজন্য।
সে সময় পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেজ ক্রাবিনহোর বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়কে পর্তুগাল সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পর্তুগালের অর্থনীতিতে তারা অবদান রাখছে।
বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শগুলোর ওপর কাজ করার আশ্বাস দেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: