
মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর জেলায় এ মৌসুমের নিরাপদ আম ও লিচু সংগ্রহ শুরু করার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফল উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু নাছের ভূঁঞা।
রবিবার (৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ডিসি জানান, রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ করে পরিপক্ব ফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুরো মৌসুমে গাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আম ও লিচু সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় ১৫ মে শুরু হয়ে আম সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়া মোজাফফর জাতের লিচু ৯ মে এবং বোম্বাই জাতের লিচু ২৫ মে সংগ্রহ শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, ১৫ মে থেকে স্থানীয় গুটি জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে। ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ ও রাণীপছন্দ, ৩০ মে থেকে ক্ষীরসাপাত, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, ২০ জুন থেকে মোহনভোগ ও আম্রপালি, ২৫ জুন হাড়িভাঙা ও ফজলি, ৫ জুলাই থেকে মল্লিকা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪, ২০ জুলাই থেকে আশ্বিনা এবং সর্বশেষ ২০ আগস্ট থেকে গৌড়মতি আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সময়সূচির আগে কোনও জাতের আম ও লিচু পরিপক্ব হলে উপজেলা কৃষি বিভাগ এবং প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) হুসনা ইয়াসমিন, আমচাষি মোস্তফা কামাল, নাটোর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিটিভির নাটোর প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন, নাটোর প্রেস ক্লাব সভাপতি ফারাজী আহমেদ রফিক বাবনসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বাগান মালিক ও ফলচাষি এবং আড়তদার।
বক্তব্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার ৭শ ৪৭ হেক্টর জমি থেকে ৭৯ হাজার ৮শ ৮৩ টন আম এবং ৯শ ১৬ হেক্টর জমি থেকে ৮ হাজার ২শ টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি বাগানি ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গাছে ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পর ফল সংগ্রহের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়।’ পাশাপাশি ক্ষতিকর কার্বাইড ও ফরমালিন ব্যবহার না করার জন্যেও তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় ব্যবসায়ীদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ‘দেশি সুস্বাদু ফল আম ও লিচু সংগ্রহ, বিপণন ও পরিবহন কার্যক্রমে কোনও প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন তা নিরসন করবে। শুধু তাই নয়, জেলার সব ফলের আড়ত এবং বাগানগুলোতে প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান থাকবে।’
জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ফলে ক্ষতিকর পদার্থের স্প্রে করা থেকে বিরত থাকতে এবং ব্যাগিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: