• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনের দ্বার খুলছে শুক্রবার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫৭ পিএম
পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলছে
সুন্দরবন

নিউজ ডেস্ক : তিন মাস নিষেধাজ্ঞার পর পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনের খুলে দেওয়া হবে শুক্রবার । সকাল থেকে ওই দিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হবে সুন্দরবন । দেশি- বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত বাংলার সবুজে ভরা প্রাণ সুন্দরবন । এদিন থেকে উঠে যাবে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা । ওই দিন থেকে পুনরায় পর্যটকরা যেতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে ।

গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ ।  

পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা( ডিএফও) ড. মো. আবু নাসের মোহসিন হেসেন বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের জন্য পারমিট দেওয়া শুরু হবে । এ জন্য নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । জেলে ও পর্যটকরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন ।   তিনি বলেন, পর্যটকরা বনে যাওয়ার সময় প্লাস্টিকের পানির বোতল, একবার ব্যবহার হয় এমন প্লাস্টিকের খাবার প্লেট, সফট ড্রিংকসের বোতল ও ক্যান নিতে না পারেন সেবিষয়ে কঠোর অবস্থানে সুন্দরবন বন বিভাগ । বনের অভ্যন্তরে পানি ও স্থলভাগে যাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক, পলিথিন ও অপচনশীল দ্রব্য ফেলতে না পারে সেজন্য সুন্দরবনে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । এরপরও যদি কেউ প্লাস্টিকের এসব সামগ্রী বনের মধ্যে নিয়ে যায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে । করা হবে জরিমানা ।  

রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় । নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে পর্যটকসহ বনজীবীদের কোলাহলমুক্ত থাকায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন প্রজননের সুযোগ তৈরি হয়েছে ।  

জানা যায়, এই ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি এলাকা ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ঘোষণা করে । সুন্দরবনের মধ্যে ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে । অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার এই বনে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর । সুন্দরবনের এই বিশাল অংশ বিশ্বের বৃহৎ জলাভূমি রামসার এলাকা হিসেবেও স্বীকৃত ।  

মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় জুন- জুলাই- আগস্ট এই তিন মাস বনের নদী- খালে মাছ শিকার আহরণে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা ছিল । শুধু মাছ শিকারই বন্ধ নয়, নির্দিষ্ট এ সময় বনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশও ছিল বন্ধ ।   সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার( আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ৩ মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে । 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image