• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিলেটে বোরো ধানে ব্লাস রোগের প্রাদুর্ভাব


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৩ পিএম
সিলেটে
বোরো ধানে ব্লাস রোগের প্রাদুর্ভাব

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট: সিলেট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার হাওর গুলোতে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগে প্রদার্ভাব দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করে এর রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি বেড়ে যাওয়াতে কৃষকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করেছে। এ রোগ শুধু সিলেট নয় হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারে ও দেখা যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ব্রি-২৮ জাতের ধান। কাটার মৌসুমে এসে দেখা যাচ্ছে কোনো ধানেই চাল নেই। আছে শুধু খোসা। চারাসহ ধান গুলো সাদা হয়ে  গেছে। সব হারিয়ে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে কৃষকদের।

সরেজমিনে বিভিন্ন হাওর ঘুরে জানা যায়, ব্রি-২৮ জাতের ধান অনেকটাই সরু। চালও সরু হয়। খেতেও সুস্বাদু। ফলনও ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে অন্তত ২০ মণ ধান ফলে। তাছাড়া অন্যান্য ধানের চেয়ে এটি আগে কাটা যায়। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগও এটিকে তেমন ক্ষতি করতে পারে না। আবার বিক্রি করতে গেলে বাজারে এর দামও বেশি মেলে। তাই এর প্রতি কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি। হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, মাধবপুর, সুনামগঞ্জে তাহেরপুর, মধ্যনগর, দিরাই, সিলেটের বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, ছাতক উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা হাওরবেষ্টিত। হাওর এলাকার প্রায় সবাই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেন।

এ বছর জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে হাওরের একটি বৃহৎ অংশে কৃষকরা ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে কাটার সময় ধানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব  দেখা দিয়েছে। ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে গেছে হাওরের পর হাওর ধান। গাছসহ ধান সাদা হয়ে গেছে। ভেতরে  কোনো আঁশ নেই। পুরোটাই খোসা। এগুলো এখন জ্বালানি হিসেবে (থেকে ঋণ করে এনে চাষ করেছেন। এখন তিনি পথে বসার উপক্রম।

মৌলভীবাজহার শ্রীমসঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, শ্রীমঙ্গলে ১১ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬৫১ হেক্টর। যার মধ্যে বেশ কিছু অংশ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়। যখন এটি প্রথম ধরা পড়ে, তখন পাতা একটু একটু মরতে শুরু করে। তখনই কৃষকদের দুই রাউন্ড ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরিয়ার পরিবর্তে পটাশিয়াম সার ব্যবহারের পরামর্শ দেন। অনেক কৃষক এই অল্প পাতা মরায় কিছু হবে না ভেবে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেননি।  কেউ কেউ এক রাউন্ড স্প্রে করেছেন। কিন্তু যাঁরা ঠিকমতো নিয়ম মেনেছেন, তাঁদের ফসল নষ্ট হয়নি।

সিলেট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, সিলেট ও মৌলভীবাজারের হাইল হাওর, কাউয়াদিঘি হাওর ও হাকালুকি হাওরের নিচু এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় আট হেক্টর এলাকায় ব্রি-২৮ জাতের ধান ও বি-৪৮ জাতের ধান নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এটি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের সহায়তার জন্য সরকারের  কোনো বরাদ্দ এলে তাঁরা পাবেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image