• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আপাতত পদ্মা সেতুর টোল বাড়ছে না


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:০৪ পিএম
মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপে ২২০ টাকা
পদ্মা সেতুর টোল বাড়ছে না

নিউজ ডেস্ক:   পদ্মা সেতুকে রাজধানী ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। পুনর্নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত, গত বছরের এপ্রিলে অর্থ বিভাগের অনুমোদিত হারে টোল আদায় করা হবে ১ জুলাই থেকে।

এ হিসাবে এক্সপ্রেসওয়েতে মাঝারি ট্রাকে ৫৫০ টাকা, বাসে ৪৯৫ টাকা, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপে ২২০ টাকা এবং প্রাইভেটকারে ১৩৮ টাকা টোল দিতে হবে। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে ৫৬ টাকা টোল লাগবে মোটরসাইকেলের।

টোল বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অভ্যন্তরীণ সভা হয়।

২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হবে। সেদিন থেকেই সেতুতে টোল আদায় করা কবে। একই সময়ে এক্সপ্রেসওয়েতে বড় অঙ্কের টোল আরোপ হলে পরিবহন তথা জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। তাই আপাতত টোল না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। টোল পুনর্নির্ধারণে মঙ্গলবার অংশীজনের সঙ্গে সচিবের সভাপতিত্বে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন বিভাগের উপসচিব (টোল ও এক্সেল) ফাহমিদা হক খান।

এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) সবুজ উদ্দিন খান বলেন, টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) অপারেটর হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার (আগামীকাল) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। টোল আদায় করে দিতে কেইসি আগামী পাঁচ বছরে ৭১৫ কোটি টাকা নেবে সরকারের কাছ থেকে।

এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রাবাড়ী-মাওয়া অংশে কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাপুর, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাহির ও প্রবেশ পয়েন্ট থাকবে। এই দুই এলাকা দিয়ে যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে ঢুকতে ও বের হতে পারবে। পদ্মার ওপারে বাহির ও প্রবেশ পয়েন্ট থাকবে পুলিয়াবাজার ও মালিগ্রামে। এই চার পয়েন্টে এখনও টোল আদায় স্থাপনা নির্মিত হয়নি।

টোল নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, মাঝারি ট্রাককে ভিত্তি ধরে টোল নির্ধারণ করা হয়। নীতিমালার গাণিতিক সূত্রে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে মাঝারি ট্রাকে কিলোমিটারের ২০ টাকা ১৮ পয়সা টোল নির্ধারণ করেছিল কমিটি। পদ্মা সেতুর উচ্চ টোল ও জনগণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করে ১০ টাকা টোল আরোপের প্রস্তাব করা হয়, যা অনুমোদন করে অর্থ বিভাগ।

নীতিমালা অনুযায়ী, তিন এক্সসেলের ট্রেইলারের টোল মাঝারি ট্রাকের আড়াই গুণ, বড় ট্রাকে দুই গুণ। বড় বাসের টোল মাঝারি ট্রাকের ৯০ শতাংশ। মিনি ট্রাকে ৭৫ শতাংশ, মিনিবাসে ৫০ শতাংশ, মাইক্রোবাস ও পিকআপে ৪০ শতাংশ, প্রাইভেটকারে ২৫ শতাংশ এবং মোটরসাইকেলে ৫ শতাংশ। এ হিসেবে এক্সপ্রেসওয়েতে বড় বাসের টোল কিলোমিটারে ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। তবে অনুমোদিত টোল ৯ টাকা। ফলে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের টোল ৪৯৫ টাকা।

নীতিমালায় মাঝারি ট্রাকের জন্য দুই লেনের মহাসড়কে কিলোমিটারে দুই টাকা এবং ৭৫০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুতে ৪০০ টাকা টোল ধরা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের বিষয়ে কিছু বলা নেই সাত বছর আগে প্রণীত নীতিমালায়। এক্সপ্রেসওয়েতে মহাসড়কের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং মূল্যস্ম্ফীতির কারণ দেখিয়ে কিলোমিটারে টোল ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব করে পুনর্নির্ধারণ কমিটি। নীতিমালায় প্রস্তাবিত পরিবর্তন অনুযায়ী ৩৩ টাকা ৭১ পয়সা এবং এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা বিবেচনায় ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা প্রস্তাব করা হয়।

৩৪ টাকা ৭০ পয়সা ধরে হিসাব করলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মাঝারি ট্রাকে টোল দিতে হবে এক হাজার ৯০৯ টাকা। ট্রেইলারে টোল দিতে হবে চার হাজার ৭৭১ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে পদ্মা সেতুর ছয় হাজার টাকা টোল। একটি ট্রেইলারকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে ১০ হাজার ৭৭১ টাকা টোল দিতে হবে।

এত উচ্চ টোলে পরিবহন ব্যয় লাগাম ছাড়াবে- এই যুক্তিতে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কিলোমিটারে ভিত্তি টোল ২৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। এ হিসাবে বড় বাসে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হবে এক হাজার ২৩৮ টাকা। পদ্মা সেতুর দুই হাজার ৪০০ টাকা যোগ হয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে তিন হাজার ৬৩৮ টাকা টোল দিতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image