• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই ছেলের পর মারা গেলেন বাবা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:২৪ পিএম
সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ সন্তানের পর মারা গেলেন বাবা
আনোয়ার হোসেন

কক্সবাজার (চকরিয়া) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে বিষক্রিয়ায় দুই ছেলের মৃত্যুর ঘণ্টা চারেক পর মারা গেলেন তাদের বাবা। 

বুধবার (০৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মারা যান।

এর আগে একই ঘটনায় রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় আনোয়ারের দুই ছেলে শহিদুল ও শাহাদাতকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

চিকিৎসক বলছেন, বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।দুই ভাই ও বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আনোয়ারের মেজ ছেলে মৌলভী মঞ্জুর আলমও নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে চকরিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহাদ্দর কাটায় তাদের বসতভিটাও তলিয়ে যায়।

গতকাল বসতভিটা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় রাত ১০টার দিকে আনোয়ারের দুই ছেলে শহিদুল ও শাহাদাত সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন। একপর্যায়ে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের বাবা আনোয়ার হোসেন ট্যাংকে নামেন। এক সময় তারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুই ভাই শহিদুল ও শাহাদাতকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা আনোয়ারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে গভীর ঘুমে চলে গেলেন তিনিও।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শোভন দত্ত বলেন, ‘বধুবার রাতে ওই দুই ভাই হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তাদের অক্সিজেনের ঘাটতি ও মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়া ছিল। এতে আংশকাজনক অবস্থায় একজনকে (আনোয়ার হোসেন) চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল।

বিষক্রিয়ার বিষয়টি ব্যাখা করে তিনি বলেন, ‘মাটিতে গর্ত করে তৈরি করা ট্যাংকে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, সালফার ডাইঅক্সাইডসহ সালফারের অন্যান্য গ্যাস, মিথেন, এমনকি বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হতে পারে। বদ্ধ থাকার ফলে এসব গ্যাস ক্রমশ ঘন হতে থাকে এবং সেই সঙ্গে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হতে থাকে। কখনো কখনো এ ধরনের বদ্ধ কূপ একেবারে অক্সিজেনশূন্য হয়ে যায়। এই কারণে সতর্কতা গ্রহণ ব্যতীত সেপটিক ট্যাংকের গভীরে নামলে অক্সিজেনের অভাবে ও পাশাপাশি মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় মানুষ জ্ঞান হারানোর সম্ভাবনা থাকে। দ্রুত সময় সজ্ঞানে বের হয়ে আসতে না পারলেই বিপর্যয় ঘটে। অক্সিজেন ঘাটতির কারণে মস্তিষ্কে হাইপোক্সিয়া ও কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে ব্যক্তি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image